জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যার রায় আজ

মামুনুররশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যা মামলার রায় আজ। গত ১৯ ফেব্র“য়ারি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার রায় ঘোষণার জন্য আজকের এই দিন নির্ধারণ করেন।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কাচু আলুটারী গ্রামে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও রিকশা যোগে তার ঘাসের খামারে যাবার পথে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। তদন্তকালে পুলিশ জঙ্গি সদস্য মাসুদ রানাকে গ্রেফতার  করে। তিনি জাপানি নাগরিককে হত্যার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি  তার অপর  সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন।
কাউনিয়া থানার পরিদর্শক মামুন-উর-রশিদ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১ জুলাই আসামী রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মাসুদ রানা, এলাকার এছাহাক আলী ও আবু সাঈদ,  বগুড়া জেলার গাবতলী এলাকার লিটন মিয়া এবং গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা হলদিয়ার চরের সাখাওয়াত হোসেনসহ আট জঙ্গির নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ৭ জুলাই আদালত তা গ্রহণ করে।
আদালত ৬০ কার্যদিবসে মামলার মোট ৫৭ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে। আসামী সনাক্তকরণ, সাফাই স্বাক্ষ্যগ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপনসহ মামলার সকল আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত হয়। ক্লুবিহীন এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিদের খুঁজে বের করে তদন্ত শেষে চার্জশিট দিতে ১১ মাস সময় নেয় পুলিশ। কিন্তু মাত্র সাত মাসেই বিচার কার্যক্রম শেষ করে এনেছেন আদালত। আসামীদের মধ্যে মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, সাখাওয়াত হোসেন, লিটন ও আবু সাঈদকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া সাজ্জাদ আলী রাজশাহীতে এবং সাদ্দাম হোসেন ঢাকায় জঙ্গি অপারেশনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। আরেক আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু আনসারী পলাতক রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট এ মামলার জেএমবির ৮ জঙ্গির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ১৩ অক্টোবর কাউনিয়া আমলি আদালত-২ এর বিচারক আরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে মামলাটি রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। পরে ২৬ অক্টোবর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর বিচারের জন্য মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করেন। ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে  বিশেষ জজ আদালত সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবুসোনা) জানান, এ মামলার ৮ আসামীর মধ্যে আবু আনছারী পলাতক রয়েছেন এবং পঞ্চগড়ের নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান গত বছরের ১ আগস্ট রাজশাহীতে এবং কুড়িগ্রামের সাদ্দাম হোসেন চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ঢাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বাদীপক্ষের এ আইনজীবী মনে করেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা হত্যা মামলাটি তারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তারা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 1153378599344984761

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item