বেরোবির দু’টি স্থাপনার ভিত্তি প্রস্তরের উদ্ভোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ

অবশেষে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে  (বেরোবি) গবেষণার জন্য  ‘ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ এবং ছাত্রীদের আবাসনের জন্য ‘শেখ হাসিনা হল’ এর ভিত্তিপ্রস্তরের শুভ উদ্ভোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের  উদ্ভোধন করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিবের সঞ্চালণায় এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. মাহমুদ আলী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রংপুর বিভাগের সংসদ সদস্যবৃন্দ। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকের পাদদেশে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ।
শিক্ষামন্ত্রী তাঁর শুভেচ্ছা বক্তৃতায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানকে ঐতিহাসিক মুহুর্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এই ভবন দু’টি উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষামন্ত্রী তরুন প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “আমরা চাই আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখা-পড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবে। আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দিবে। তাই তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তবে জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। কারণ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস মানুষের শান্তি নষ্ট করে, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করে”।
তিনি বলেন, “ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই। মানুষ মেরে কেউ বেহেস্তে যাবে না। তাই বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের  জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে রুখে দেওয়ার আহবান জানান তিনি”।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন,“দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশের শিক্ষার হারসহ সার্বিক উন্নয়নের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে হলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠি উপহার দিতে হবে। এজন্য বর্তমান সরকার প্রতিটি জেলায় সরকারী অথবা বেসরকারী উদ্যোগে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে। সব কিছুর শিখরে বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে”।
উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আপনার (প্রধানমন্ত্রী) সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে আপনার নির্দেশনায় সেইভাবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যে দু’টি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে আমি মনে করি এই ভবন দু’টি থেকে দেশের সেরা বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, প্রশাসক এবং সেরা উদ্যোক্তা বের হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আরো স্থাপনা নির্মাণ হবে বলে আশবাদ ব্যক্ত করেন”।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সাড়ে ৯৭ কোটি টাকা পরিমাণের একটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক(সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী)। অনুমোদন পাওয়া দুটি স্থাপনার মধ্যে ১০ তলা বিশিষ্ট ‘ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’। যার নির্মাণ ব্যয় হবে ২৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আর হাজার আসন বিশিষ্ট ১০ তলা ‘শেখ হাসিনা হল’ নির্মাণে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।অবশিষ্ট টাকা দুটি ল্যাবরোটরি  ও স্বাধীনতা স্বারকের অবকাঠামোর অবশিষ্ট অংশের কাজের জন্য ব্যয় হবে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 4720891532635671994

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item