অলস বসে আছে শ্রমিকরা,পীরগঞ্জে শুরু হয়নি কর্মসংস্থান কর্মসুচীর কাজ!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ

এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পীরগঞ্জের ১৫ টি ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচীর ১ম পর্যায়ের কাজ শুরুই হয়নি। ফলে হাতে কাজ না থাকায় প্রকল্পটির তালিকাভুক্ত কর্মঠ শ্রমিকরা বেকার বসে আছে এবং গ্রামীন রাস্তাগুলোও ভাঙ্গাচোরার কারণে চলাচলে অনুপযোগি হয়েছে। অপরদিকে পুরাতন শ্রমিকদের নাম তালিকা থেকে কর্তন করে নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করতে টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জন্য গত ১ জানুয়ারী ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের এক স্মারকে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসুচীর ১ম পর্যায়ের কাজ শুরুর জন্য পীরগঞ্জের ইউএনও’র কাছে দপ্তর নির্দেশ আসে। এরপর গত ১৫ জানুয়ারী ইউএনও তার দপ্তরের স্মারকে পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ২১ জানুয়ারী থেকে ওই কর্মসুচীর কাজ শুরুর নির্দেশ দিলেও এক সপ্তাহ (গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত) পেরিয়ে গেলেও কোন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজ শুরু করেনি। ফলে এই সময়ে মাঠে তেমন কাজ না থাকায় প্রকল্পটির ইতিপূর্বের তালিকাভুক্ত শ্রমিকরা বেকার হয়ে বসে আছে। এ ব্যাপারে উপজেলঅ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আগামী ২/১ দিনের মধ্যে আমরা শ্রমিকদের নামের তালিকা পাবো। তিনি কাজ দেরীতে শুরু হওয়ার ব্যাপারে কিছুই বলেননি।
সুত্র আরও জানায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে করা ইতিপূর্বের তালিকাভুক্ত শ্রমিক ছিল সর্বমোট ৪ হাজার ১২৪ জন। চলতি অর্থবছরে আরও ৪১৪ জন শ্রমিককের পুনঃ বরাদ্দ আসে। এতে মোট ৪ হাজার ৫৩৮ জন শ্রমিক ওই কর্মসুচীর অধীনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, বাঁধ নির্মানসহ মাটির কাজ করবে। প্রায় ৭ মাস আগে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের কাজ শেষ হওয়ায় অনেক গ্রামীন রাস্তা বর্তমানে ভাঙ্গাচোরার কারণে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি চলতি ইরি-বোরো মওসুমের কারণে মাঠে ও হাতে কোন কাজ না থাকায় অনেক শ্রমিক অলস সময় কাটাচ্ছে। উপজেলার চৈত্রকোল ইউপিতে ২৯৮ জন, ভেন্ডাবাড়ীতে ২৫৩ জন, বড়দরগায় ২৮৫ জন, কুমেদপুরে ২৫৯, মদনখালীতে ২৮৪ জন, টুকুরিয়ায় ২৬৬ জন, বড়আলমপুরে ৩১৭ জন, রায়পুরে ২৬০ জন, পীরগঞ্জে ৩৩৬ জন, শানেরহাটে ২৮৭ জন, পাঁচগাছীতে ২৭১ জন, মিঠিপুরে ৩২৪ জন, রামনাথপুরে ৩৯৬ জন, চতরায় ৩৫২ জন এবং কাবিলপুর ইউনিয়নে ৩৫০ জন শ্রমিক চলতি অর্থবছরে কর্মসংস্থান কর্মসুচীর কাজ করবে। তারা প্রতিদিন ৭ ঘন্টা কাজের বিনিময়ে ঘন্টায় ২০০ টাকা হারে মুজরী পাবেন।
একাধিক সুত্র জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত অনেক শ্রমিকের নাম ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অহেতুক কর্তন করে নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করতে দরিদ্রদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। অথচ বিধিতে রয়েছে, যদি কোন শ্রমিক মারা যায়, অন্যত্র চলে যায় অথবা কাজ করতে অক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্য যেমন স্ত্রী, স্বামী, পুত্র, কন্যা, পিতা এবং মাতাকে তালিকাভুক্ত করা যাবে। ইতিমধেই অনেক ইউনিয়নে মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানায়, চেয়ারম্যানের কথামতো না চলাতেও অন্যায়ভাবে অনেকের নাম কর্তন করা হচ্ছে। আবার নতুন শ্রমিকদের নাম তালিকাভুক্ত করতেও ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইউএনও কমল কুমার ঘোষ বলেন, এ রকম অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 3675339277324660207

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item