“পীরগঞ্জে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ দূনির্তী”

মামুনুররশিদ মেরাজুল -

 রংপুরের পীরগঞ্জে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাড়তি প্রদান ছাড়া ভর্তি না করানোর চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রধান কৃর্তক অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে ও ক্যার্সম্যান এলাকার কোটা সংরক্ষণের দাবিতে বিদ্যালয়ের জমি দাতা জনপ্রতিনিধি সহ  অভিভাবক জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এবিষয়ে স্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় বিভিন্ন রকম রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অসন্তোনের দানা বেঁধে উঠেছে। ঘটনাটি মাদারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে জানা যায় উপজেলার সনামধন্য মাদারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যলয়টি অতিত হতে সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছিল কিন্তু বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক শাহ্ তাজুল ইসলাম শামীমের বিতর্কীত কর্মকান্ডের কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হতে চলেছে। ২০১৭ শিক্ষা বর্ষে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে সেশন ফি ২’শত টাকার পরিবর্তে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ মোতাবেক অতিরিক্ত ৮’শত থেকে ১’এক জাহার টাকায় ভর্তি করা হচ্ছে। অতিরিক্ত এই অর্থ আদায়কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। সরজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সহকারী শিক্ষক অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায় এবছর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সময় সেশন ফি বাদদ নির্ধারিত ২’শত টাকা আদায়ের কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন উন্নয় ফান্ড দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। অতিরিক্ত এ অর্থ আদায় ছাড়া কোন শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করার অভিভাবকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকার জনপ্রতিনিধি স্থানীয় গন্যব্যক্তির হস্তক্ষেপেও বিষয়টি সুরাহা হয় নাই। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি ইচ্ছুক হাসানপুর গ্রামের ছাদেকুল ইসলামের পুত্র খাদেমুল ইসলাম একই গ্রামের ঐ বিদ্যালয়ের জমি দাতা রাঙ্গা মিয়ার পুত্র হরযত আলীকে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান ছাড়া রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভর্তি হতে পারেনি। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান অতিরিক্ত অর্থ আদায় প্রধান শিক্ষকের একক সিদ্ধান্তের ফল বিদ্যালয়ের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শহিদুল লুলু জানান ক্যার্সম্যান এলাকায় কোটা সংরক্ষণ করে সরকারী ফি জমা নিয়ে ভর্তির জন্য প্রথান শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান অতিরিক্ত অর্থ আদায় সমর্থন যোগ্য নয়। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ জানতে পেরেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যালয়ের অভিভাবক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সুশীল সমাজ শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণ উক্ত বিষয় নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।