পীরগঞ্জের রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত, ফৌজদারী মামলা রুজুর নির্দেশ

মামুনুর রশিদ মেরাজুল রংপুর ব্যুারো-   
 
পীরগঞ্জের রায়পুর ইউপি’র চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের এলজি এসপি-২ এর বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গত ১৭ জানুয়ারী স্থানীয় সরকার বিভাগ বরখাস্তের ওই আদেশ দেন।
জানা গেছে, উপজেলার বর্ণিত ইউনিয়নে গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে দু’কিস্তিতে সরকার এলজিএসপি প্রকল্পে ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৮ টাকা প্রদান করে। বরাদ্দকৃত অর্থ পীরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখায় ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান সরকার, সচিব শক্তি কুমার ও মহিলা ইউপি সদস্য আয়তন নেছার যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হিসেবে জমা রাখা হয়। বরাদ্দকৃত অর্থের বিপরীতে কোন প্রকার প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান সরকার সচিব এবং মহিলা ইউপি সদস্যের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে সমুদয় অর্থ বিধি-বর্হিভূতভাবে উত্তোলন করে আত্বসাত করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সংশ্লিষ্ঠ ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী, ইউপি আ’লীগের সভাপতি রমজান আলী, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহানুর আলম প্রধান পৃথক পৃথকভাবে দুদুক চেয়ারম্যানসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়’র থেকে তদন্তও অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ বিধি-বর্হিভূত ভাবে উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) এর ক্ষমতাবলে ওই চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্তের অফিস আদেশ দেয়া হয়েছে। যার স্মারক নং-৪৬.০০.৮৫০০. ০১৭.২৭.০০২.১৭.৪৪ তারিখ-১৭/০১/২০১৭খ্রিঃ। এলজি এসপি’র অর্থ আত্মসাত প্রমাণিত হওয়ায় একই তারিখে ৪৬.০০.৮৫০০.০১৭. ২৭.০০২.১৭.৪৫ নং স্মারকে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান এর বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রুজু করে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিতকরনের জন্য রংপুরের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়। এদিকে ওই তারিখে ৪৬.০০.৮৫০০.০১৭.২৭.০০২.১৭.৪৬ নং স্মারকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৫) মোতাবেক কেন চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ হতে চুড়ান্তভাবে অপসারন করা হবে না পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ নিশ্চিতকরণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখিত স্মারকের পত্র ৩টিতে স্বাক্ষর করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মাহবুবুর রহমান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমল কুমার ঘোষ বলেন‘ লোক মূখে শুনেছি। অফিস আদেশের কোন চিঠি এখনো পায়নি। চিঠি পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 3297956109807464161

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item