নীলফামারীতে জয়নাল আবেদীনকে সংবর্ধনা

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৩ জানুয়ারী॥
নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনকে সংবর্ধনা দিয়েছে তার সমর্থকগন। সেই সঙ্গে বিশাল শো-ডাউন করা হয়। গত বুধবার (১১ জানুয়ারী) ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শপথ নেন নীলফামারী সহ দেশের ৫৯ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানগন। উক্ত শপথ গ্রহন শেষে আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী বিকালে ইউএস বাংলার বিমানযোগে জয়নাল আবেদীন ঢাকা হতে সৈয়দপুর আসেন। তাকে  বিমানবন্দরে বাদ্যযন্ত্র ও ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা সহ সংবর্ধনা প্রদান করে তার সমর্থক গোষ্ঠী। এদের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
 প্রায় এক দেড়শত মোটরসাইকেল ও ৩২টি চার চাকার গাড়ী বহর সহ সৈয়দপুর বিমানবন্দর হতে জয়নাল আবেদীনকে নীলফামারী নিয়ে আসা হয়। সৈয়দপুর হতে নীলফামারীর ২২ কিলোমিটার সড়কের ইপিজেড মোড়, কাছারী, দারোয়ানী, ফুলতলা, কালিতলা, স্টাফ কোয়াটার মোড়, মাধার মোড় চৌরঙ্গী মোড়, মরাল সংঘ, ও বাজার শ্রমিক সংগঠনের পথ সভার মাধ্যমে জয়নাল আবেদীনকে সংর্বধনা প্রদান করেন। এ জন্য জেলা শহর সহ সৈয়দপুর সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক তোরণ নির্মান করা হয়।  সৈয়দপুর হতে নীলফামারী শহরে তিনি প্রবেশ করেন সন্ধ্যা ৭টার দিকে। শহরের শেষ পথসভা অনুষ্ঠিত হয় বড়বাজার ট্রাফিক মোড়ে। এখানে জয়নাল আবেদীন বলেন আগামী ২২ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহন করবেন। ওই দিন তিনি সকল ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত সদস্য সহ তার সকল সমর্থনদের বাজার ট্রাফিক মোড়ে সমবেত হবার আহবান জানান। ওই দিন সকাল ১০টায় সেখান থেকে সকল কে সঙ্গে নিয়ে জেলা পরিষদে গিয়ে দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে ঘোষনা দেন।
জয়নাল আবেদীন বলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে তিনি এ জেলার উন্নয়নে নিরলশভাবে কাজ করবেন। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
উল্লেখ যে, গত ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে নীলফামারীতে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে প্রার্থী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জাতীয়পাটির নেতা জয়নাল আবেদীন। তার প্রতিদ্বন্দি ছিলেন আনারস প্রতিক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মমতাজুল হক। ওই নির্বাচনে এ জেলার ৬টি উপজেলা, ৪ টি পৌরসভা ও ৬১টি ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ভোটার মোট ৮৫৫ জন ছিল। এতে জয়নাল আবেদীন ৪৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর মমতাজুল হক পেয়েছিলেন ৪১১। ভোটের ব্যবধান ছিল ৩১।
প্রসঙ্গতঃ ৯০ দশকে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন স¤পাদক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন।১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে পেয়েছিলেন নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন। অল্প ভোটে হেরে যান।২০০১ এর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ ছেড়ে জাতীয় পাটিতে যোগ দেন। এরপর তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনে জেলা কমান্ডার হন। ধাপে ধাপে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এবার স্বতন্ত্র হয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর/২০১৬ নীলফামারী জেলা  পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসাবে বিজয় লাভ করেন। গত ১১ জানুয়ারী/২০১৭ ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের শপথ নিয়ে আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) বিকালে ঢাকা হতে বিমানে সৈয়দপুর হয়ে নীলফামারী প্রবেশ করেন সন্ধ্যায়। বিশাল গাড়ীর বহর আর সমর্থকদের শ্লোগান নীলফামারীর মাটি আবেদীন ভাইয়ের ঘাঁটি। গাড়ীর বহরে ফুল দিয়ে সাজানো আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিক নৌকা দেখা যায়। তাহলে কি তিনি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলেন?

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 4678120538094013427

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item