এমপি লিটন হত্যায় সন্দেহভাজন আরও ৫ সহ এ পর্যন্ত ৬১ আটক

নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি ::

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা সন্দেহে জামায়াত-শিবিরের আরও ৫ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এনিয়ে গত ১৩ দিনে এ ঘটনায় ৬১ জনকে আটক করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আটককৃতদের মধ্যে ৮ জনকে বিমা-ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বিভিন্ন তথ্য নির্ভর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। এ অভিযানে সন্দেহভাজন আরও ৫ জন জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীকে আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ।
আটককৃতরা হলো-কাপাসিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী ও ঐ ইউনিয়নের ভাটী কাপাসিয়া গ্রামের মৃত-মোসলেম আলীর পুত্র মোজাম্মেল হক (৪৫), শিবির ক্যাডার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের ধুবনী কঞ্চিবাড়ি গ্রামের আব্দুল কাদেরের পুত্র এরশাদ আলী (৩০), জামায়াতের কর্মী শান্তিরাম ইউনিয়নের পাঁচগাছী শান্তিরাম গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র আমীর হামজা ওরফে ভুট্টু (৪৫), জামায়াতের ছাপড়হাটী ইউনিয়ন সহ-সভাপতি ও ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের মোসলেম আলীর পুত্র গোলাম মোস্তফা (৪৬) ও শিবির কর্মী বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামধন গ্রামের মফিজ উদ্দিনের পুত্র জহুরুল ইসলাম (৩০)। এদের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতা মামলা রয়েছে। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে বলে সুন্দরগঞ্জ থানা সূত্র জানিয়েছে। এব্যাপারে বিকালে মুঠোফোনে কথা হলে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক বলেন-আটককৃতদের রিমা- চাওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোন কাগজপত্র হাতে পায়নি।
এদিকে, গত বৃস্পতিবার ভোরে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার স্বাধীনতা স্মরনীর রোডের ২৭/২ নম্বর বাসা থেকে থানা জামায়াতের আমীর ও সর্বানন্দ ইউনিয়নের খানাবাড়ি গ্রামের ইউনুস আলীর পুত্র শিবির ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম ও একই গ্রামের হাজী ফরিদ উদ্দিনের পুত্র শিবির ক্যাডার জহিরুল ইসলামকে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হলেও তাদেরকে এখনো কোর্টে সোপর্দ্দ করা হয়নি বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিন (৩১ ডিসেম্বর) শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এমপি লিটনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় হত্যাকারীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এপর্যন্ত সন্দেহভাজন ৬১ জনকে আটকের পর কোর্টে সোপর্দ্দ করে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত ৮ জনের রিমা- মঞ্জুর করায় তাদেরকে রিমা-ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গেছে।