কিশোরগঞ্জে চাঁড়ালকাটা নদীর বালু লুট হুমকির মুখে সেতু

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি উইনিয়নের চাঁড়ালকাটা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু লুট করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে করে ফসলি জমি ও তারাগঞ্জ- কিশোরগঞ্জ  রাস্তার উপর  যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বেইলি সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রসাশন কোন কার্য়করী ব্যাবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন বালু লুটপাট বেড়েই চলেছে।  এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসির।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বাহাগিলি ইউনিয়নের চাঁড়ালকাাটা নদীর দক্ষিনদিকে বাহাগিলি ঘাট নামক বেইলি ব্রীজের নিচ থেকে জুগল চন্দ্রের নেতৃত্বে ৫ বছর ধরে নদী থেকে ট্রলি ও মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে বালু লুট করে আসছে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের লোকের ভয়ে কিছ ুসময়  বন্ধ রাখা হয়।প্রশাসনের  লোক চলে আসলে আবার শুরু হয় বালু লুট।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রীজের নিচ থেকে ট্রটিতে করে বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে দাড়িয়ে থেকে উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়কে বালু লুটের  বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, বাহাগিলি  ঘাট বেইলি সেতুর নিচ থেকে বালু লুটের  বিষয়ে আমার কাছে অনেকেই মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ পেয়ে আমি কয়েকবার সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য তৈরি হয়েছিলাম কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই তারা খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। তাছাড়া তারা খুবই ধ্রত। এখন বালু লুটকারী চক্রটি সকাল ৯ টার আগে ও বিকাল ৫ টার পর থেকে সেখানে বালু উত্তোলন করছে। তিনি আরো বলেন, সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন সম্পুন্ন নিষিদ্ধ খুব তাড়াতাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিধি অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েকবার সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন না করার জন্য জুগল চন্দ্রকে নিষেধ করেছি। এছাড়াও গত বছর সদ্য বদলি হয়ে যাওয়া  উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা কমল কুমার সিংহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের সময় একটি মাহিন্দ্র ট্রাক্টরসহ একজনকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। তার পরও বালু উত্তোলন থামেনি।
চাঁদখানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, দীঘদিন থেকে সেতুটির নিচ থেকে বালু উত্তোলনের কারনে সেতুটি হুমকির মুখে রয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য জোর দাবি জানান।
বালু উত্তোলনকারী জুগল চন্দ্রের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি নদীর চর থেকে বালু উত্তোলন করছি। তবে যে জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছি তাতে সেতুর কোন ক্ষতি হবার কথা নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েকবার এ্যাসিলেন্টকে সেখানে পাঠিয়েছিলাম।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3625957088304921091

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item