কিশোরগঞ্জে নদীর তীর রক্ষায় ব্লক নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু, কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যমুনেশ্বরী নদীর তীর সংরক্ষন কাজের সিসি ব্লক নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ও সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বাহাগিলি সন্নাসীপাড়া নামক স্থানে যমুনেশ্বরী নদীর ৫০০ মিটার তীর সংরক্ষনে ৩ কোটি ৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা কাজের চুক্তিমুল্য ধরে দরপত্র আহবান করা হয়। টেন্ডারে কাজ পায় ঢাকা মানিক নগরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস তাজুল ইসলাম। টেন্ডারের শর্তাবলীতে কাজ শুরু ও শেষের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। গত ২০১৬ সালের ১৫ জুন কাজ শেষের কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির ঢিলেমির কারনে ২০১৭ সালেও অর্ধেক কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। ফলে গত বন্যার সময় নদীর ভাঙ্গনে ৫০ একর ফসলি জমি ওই নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
অনেকে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, প্লেসিং কাজ এভাবে চলতে থাকলে আগামী বর্ষা মওসুমে  কোটি কোটি টাকার সিসি ব্লক বানের জলে ভেসে যাবে।
গত ২ জানুয়ারী প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পূর্বের ব্লকের কাজে ব্যবহত পাথর দিয়ে পূনরায় ব্লক নির্মান করছেন নির্মান শ্রমিকরা । ওই  নির্মান শ্রমিকদের পূর্বের ব্যবহত পাথর দিয়ে কাজের বিষয়ে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দায়িত্বরত ম্যানেজার আলআমিন যেভাবে কাজ করতে বলেছে আমরা সেভাবে কাজ করছি। এসময় দায়িত্বরত প্রকৈীশলীর দেখা পাওয়া যায়নি। শ্রমিকরা বলেন,তদারকি প্রকৈীশলী মিজানুর রহমান মিজান ভাই সপ্তাহে দু একদিন আসেন। তাও তিনি বেশিক্ষন প্রকল্প এলাকায় থাকেননা। ম্যানেজারের সাথে কিছুক্ষন গল্প করে চলে যান।   ম্যানেজার আল আমিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের কাজের মান দেখার  জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিনিয়র প্রকৈীশলী তোফায়েল আহম্মেদ মাঝে মাঝে প্রকল্প এলাকায় আসেন। তিনি কাজের কোন ত্রুটি ধরতে পারেননি। মরা পাথর কিংবা নি¤œমানের পাথর দিয়ে কাজ করার প্রশ্নই আসেনা। সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব এ্যাসিসটেন্ট ইন্জিনিয়ার এস ও মিজানুর রহমান মিজানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বালু ওয়ান পয়েন্ট ৫ এফ এম ও পাথর সিঙ্গেল এমালগেট দিয়ে ব্লক তৈরী করা হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৈীশলী আব্দুস শহীদের সাথে অফিসে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন দেখা করতে পারবেননা বলে জানান।

এলাকাবাসী জানায়, ফসলি জমি ভাঙ্গন রোধে সরকার প্রকল্পটি হাতে নেয়। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ১ লাখ ২৫ হাজার ব্লক নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকা পরিত্যাক্ত মরা পাথর ও নি¤œমানের বালু দিয়ে ব্লক নির্মান করছে। এছাড়াও প্লেসিং ৪০/৪০/২০( সাইজের ব্লক) ডাম্পিং ৩০/৩০/৩০(সাইজের ব্লক) নির্মান কাজে বড় ধরনের ঘাপলা রয়েছে বলে প্রকল্প এলাকার পরিমল চন্দ্র রায়, আতাউর রহমান, মিঠু মিয়া , আজহারুল ইসলামসহ

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7627606420412426566

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item