ডোমারে চাকরীর প্রলোভনে অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর ডোমারে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরীর প্রলোভন দিয়ে চাকরী প্রার্থী স্বামী স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে বেশী টাকার বিনিময়ে অপর প্রার্থীকে চাকরী  দেয় । পুর্বের উৎকোচ দেয়া স্বামী স্ত্রীকে  চাকরী না দেওয়ার পরেও উৎকোচের টাকাও তারা ফেরত পাচ্ছে না। এ অবস্থায় দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে চাকরী প্রার্থী স্বামী স্ত্রী মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে  ডোমার উপজেলার খানকায়ে কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, খানকায়ে কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গত সাড়ে তিন বছর পুর্বে একজন সহকারী শিক্ষক ও একজন লাইব্রেয়িান পদে নিয়োগ দেয়া হবে। এ দুটি পদে নিয়োগের জন্য পার্শ্ববর্তী কাঠালতুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (হিন্দু ধর্মীয় বিষয়) কলিন চন্দ্র রায়ের মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের মোঃ কিবরিয়া চাকরী প্রার্থী একই উপজেলার বাগডোকরা গ্রামের সুবল চন্দ্র রায়ের ছেলে নলনী চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী কমলা রানীকে প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষে দর কষাকষির এক পর্যায়ে ওই দুটি পদে নিয়োগের জন্য ১০ লক্ষ টাকা চুক্তি হয়। চুক্তির পরেই একাধিক স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে তারা দুটি পদে স্বামী স্ত্রী নিয়োগ নেয়ার জন্য খানকায়ে কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের মোঃ কিবরিয়াকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা প্রদান করেন। টাকা প্রদানের পরেও ওই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে কালক্ষেপন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বেশী টাকার বিনিময়ে গোপন অন্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেন। বিষয়টি প্রকাশ পেলে চাকরী প্রার্থী স্বামী স্ত্রী তাদের দেয়া উৎকোচের টাকা ফেরত চাওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের মোঃ কিবরিয়া একশত পঞ্চাশ টাকার সাদা স্টাম্পে নলনী চন্দ্রের স্বাক্ষর নিয়ে তাকে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দেয় এবং বাকী টাকা পরে দেবে বলে জানায়। নিরুপায় নলনী চন্দ্র উৎকোচের টাকা ফেরত পেতে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে তিন লক্ষ টাকা ফেরত নেয়। পরবর্তীতে বাকী টাকার জন্য প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের মোঃ কিবরিয়াকে চাপ দিলে তিনি নানাভাবে টালবাহানার মাধ্যেমে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে চাকরী প্রার্থী নলনী চন্দ্র টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা বিষয়টিকে অমানবিক আখ্যায়িত করে অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের মোঃ কিবরিয়া উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তিনি উৎকোচের তিন লক্ষ টাকা স্টাম্পের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছেন তবে আর কোন পাওনা নেই বলে দাবী করেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 1925558056634583836

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item