শপথ নেয়া হলো না বাবুর

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৭ জানুয়ারী॥
জেলা পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদে বিজয়ী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ওরফে বাবুর (৫৫) আর শপথ নেয়া হলো না। আগামীকাল বুধবার ঢাকায় অন্যান্য ওয়ার্ড সদস্যদের সঙ্গে তার শপথ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ঢাকার সরোয়ারদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে সহ অসংখ্য আতœীয়স্বজন,বন্ধুবান্ধন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে সোনারায় ধনীপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তিনি ওই গ্রামের মৃত কাবুল চৌধুরীর ছেলে।
পারিবারিক সুত্র বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারী ডোমার পৌরসভা,ডোমার ইউনিয়ন, সোনারায়,হরিণচড়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৭ নম্বর ওর্য়াডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ওরফে বাবু হাতি প্রতিক নিয়ে প্রার্থী হন। গত ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ও তার অপর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মিজানুর রহমান ২২ করে ভোট পায়। নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী ওই দিন সন্ধ্যায় নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনের রির্টানীং অফিসার জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন লটারী করেন। লটারীর মাধ্যমে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ওরফে বাবু সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।
সুত্র মতে ১৮ জানুয়ারী ঢাকায় শপথ নেয়ার জন্য তিনি গতকাল সোমবার বিকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর হতে বিমানে ঢাকায় যান। ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছিলেন। সেখানে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হোটেল কক্ষের বাথরুমে তিনি পিছলে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে তাৎক্ষনিকভাবে ঢাকা ঢাকার সরোয়ারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ যে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু এর আগে ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দিন দফা মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।