ডোমার উপজেলায় এই শীতে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার ধুম

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গ্রাম বাঙ্গলা থেকে অনেক ঐতিহ্য বিলুপ্ত হয়ে গেছে। জাতীয় খেলা হলেও হাডুডু আর তেমন ভাবে খেলে না কেউ। ডিজিটালের ছোঁয়ায় ঘরে বসে টিভি সেটের সামনে বসে বিভিন্ন খেলা দেখে অলস সময় কাটানো আর ফুটবল-ক্রিকেট খেলাই এখনকার জাতীয় খেলায় রুপ নিয়েছে।
কিন্তু গ্রাম বাঙ্গলায় কিছু কিছু ঐতিহ্যবাহী খেলা রয়ে গেছে। যার মধ্যে লাঠি খেলা একটি। ডোমার উপজেলায় এই খেলাটি আজও জনপ্রিয়। খেলাটি ১০-১৬ জোড়া পর্যন্ত হতে পারে। এতে খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১৪-১৬জন হতে পারে। এর বেশিও হতে পারে। এর মধ্যে ১জন প্রশিক্ষক থাকেন। তাঁর নির্দেশ মেনেই খেলাটি পরিচালিত হয়। বাকি ১২-১৪জন খেলাটি খেলে থাকে এবং ১জন জোঁকার থাকেন। তিনি খেলাটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেন এবং উপস্থিত দর্শককে আনন্দ দিয়ে থাকেন। আরও থাকে যার নামকরণে খেলাটি লাঠি ও ছোঁড়া। লাঠি নিয়েই মূলতঃ খেলাটি খেলা হয়।
খেলার প্রথমে একটি দল জাতীয় পতাকা নিয়ে খেলার মাঠ প্রদক্ষিণ করেন। এরপর প্রশিক্ষকের নির্দেশক্রমে প্যারেড করে খেলোয়াড়গণ। প্যারেড শেষে দুজন খেলোয়াড় বা চারজন খেলোয়াড় দুটি বা চারটি লাঠি নিয়ে খেলাটি খেলে। এভাবে খেলাটি কয়েক ধাপে শেষ করা হয়।
জনপ্রিয় এই খেলাটির আয়োজন করেছে ডোমারের কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চান্দখানা শান্তিপাড়া গ্রামে। খেলার সমন্বয়কারী মোবাশেরুজ্জামান বাবু বলেন, এই এলাকায় ঐতিহ্যবাহী খেলাটির আয়োজন প্রত্যেক বছরই করে থাকি। ভালো লাগে। অনেক ঐতিহ্য তো গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে গেছে। রয়েছে শুধু এই লাঠি খেলাটিই। গ্রামে তো শহরের মতো থিয়েটার বা মঞ্চ নাটকের ব্যবস্থা নেই। তাই গ্রামের মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য এই খেলাটির আয়োজন করে থাকি।
শান্তিপাড়া গ্রামের খেলোয়াড় প্রবীণ আইজুল হক বলেন, খেলাটি মূলতঃ প্রাচীনকাল হতে খেলাটি চলে আসতেছে। বাবা-দাদার মূখে শুনেছি, খেলাটি মূলতঃ সাওতালরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খেলে থাকে। কিন্তু খেলাটি গ্রাম-বাংলার জনপ্রিয় হওয়ায় সবাই খেলে থাকে। এই মজার খেলাটি সবাই পছন্দ করে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8875260428668835810

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item