মতিহারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত ॥

মোঃ মেহেদী হাসান উজ্জল ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি

    দিনাজপুরের দক্ষিন অঞ্চলের অবহেলিত এলাকার মতিহারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জরর্জরীত। শ্রেনী কক্ষের অভাবে ছাত্র /ছাত্রীরা নানা সমস্যায় ক্লাস করছে। সরকারী অনুদানের অভাবে বিদ্যালয়ের নতুন কোন ভবন হচ্ছেনা। ভাঙ্গাচুড়া টিনের ছাউনি ঘরে বসেই ক্লাস করছেন প্রায় ৩ শত ৫০ জন ছাত্র/ছাত্রী। ১৯৬৩ সালে মতিহারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি একটি খোলা মাঠে হাতে গোনা কয়েক জন এলাকার বিত্যবান ও কয়েজন শিক্ষকের প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। মতিহারা দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন অবসর গ্রহন করার পর মোঃ আতিকুর রহমান (রাজা) সরকারী বিধি মালা অনুযায়ী ৪ঠা জুলাই ২০১০সালে প্রধান শিক্ষক পদে ঐ বিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহন করেন।  ইতিপুর্বে তিনি সহকারী  শিক্ষক পদে যোগদান করেন।
    উক্ত বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার অগ্রগতির জন্য ২০১৫ সালে শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছু শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন। বিদ্যালয়টির চারিদিকে খোলা থাকায় উক্ত বিদ্যালয়টি নিজস্ব এবং সামান্য কিছু স্থানীও সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের অনুদানে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মন করা হয়েছে। অপর দিকে মতিহারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে ৪৮ জন জে এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে । এতে ৬ জন এ+ পায়। বাকী সকল ছাত্র ছাত্রী ভাল ফলাফল করে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমান ১২ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী রয়েছেন । ধারাবাহিকতায় দক্ষতার সাথে মোঃ আতিকুর রহমান (রাজা) ঐ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন।
     মতিহারা দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি বর্তমান সরকারী ভাবে কোন অনুদান না পাওয়ায় বিদ্যালয়টি পরিচালনা করতে হিমসিম খাচ্ছেন। শ্রেনী কক্ষের সংকটের কারনে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগে নির্মিত জরাজির্ন ঘরেই ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাস করছে । সেই ঘর গুলি ও নির্মান করেছেন নিজের অর্থায়নে প্রধান শিক্ষক মোঃ আতিকুর রহমান (রাজা)।
     ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আতিকুর রহমান (রাজা) জানান, একটি কুচক্রী মহল বিদ্যালয়টির ভাব মুর্তি নষ্ট করার জন্য নানা রকম সড়যন্ত্র করছে । এমন কি আমার বিরুদ্ধে কিছু পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে  নানা রকম কুৎসা রটাচ্ছেন। বিদ্যালয়টি যখন উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তখন ঐ কুচক্রী মহল বিদ্যালয়টি ধ্বংশ করার জন্য উটে পড়ে লেগেছে।
    ঐ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন জানান, বয়সের ভারে আমি বিদ্যালয় থেকে বিধি মোতাবেক শিক্ষা নিতি মালায় অবসর গ্রহন করেছি। বর্তমান বিদ্যালয়টিতে অনেক ছাত্র /ছাত্রী শিক্ষা গ্রহন করছে । তাদের শিক্ষার মান অনেক ভাল । বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষের সমস্যার জন্য স্থানীয় সুধিজন, শিক্ষক, কর্মচারী ,স্কুলের ছাত্র /ছাত্রী,বিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রীর  আসুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 3795975523855111798

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item