দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ২০১৫ সালের জেএসসি পরীক্ষার খাতা মুল্যায়নের টাকা পায়নি ৮ হাজার পরীক্ষক!
https://www.obolokon24.com/2017/01/dinajpur-education-board.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল -
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের (দিশিবো) অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের জেএসসি পরীক্ষার খাতা মুল্যায়নের টাকা পায়নি প্রায় ৮ হাজার পরীক্ষক। ওই টাকা পাওয়া নিয়ে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। গত ডিসেম্বরে ২০১৬ সালের জেএসসি পরীক্ষারও ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।
দিশিবো’র পরীক্ষা শাখা সুত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলবাসীর আন্দোলনের ফসল দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে প্রায় আড়াই হাজার সরকারী-বেসরকারী স্কুল ও কলেজ রয়েছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বোর্ডটির অধীনে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ২ লাখ ১৭ হাজার ৯২৪ জন শিক্ষার্থী ১২টি বিষয়ে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওইসব খাতা মুল্যায়নে ৭ হাজার ৯’শ জন পরীক্ষক এবং ৩’শ ৬৭ জন প্রধান পরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। ওই খাতাগুলো শিক্ষকরা মুল্যায়ন করে ডিসেম্বরেই বোর্ডে প্রেরন করে। এরপর প্রায় ১৩ মাস অতিবাহিত হলেও বোর্ড কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের পারিশ্রমিক দেয়নি। ফলে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের কপালে ভাঁজ পড়েছে।
সুত্র আরও জানায়, ২০১৬ সালে বোর্ডেটির অধীনে গত নভেম্বরে জেএসসিতে ২ লাখ ২১ হাজার ২৪৩ জন পরীক্ষার্থী ১৩টি বিষয়ে অংশ নেয়। খাতাগুলো ১১ হাজার ৫০ জন পরীক্ষক ও ৪’শ ১৬ জন প্রধান পরীক্ষক মুল্যায়ন করেন এবং গত ২৯ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ভুক্তভোগী পরীক্ষকরা নাম না প্রকাশের শর্তে অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালের জেএসসির খাতা মুল্যায়নের প্রায় ১৩ মাস পরেও পারিশ্রমিক পাচ্ছি না। আমরা অনিশ্চয়তার মাঝে পড়েছি। সেইসাথে ২০১৬ সালের জেএসসি’র খাতাও মুল্যায়ন করেছি। এর পারিশ্রমিক কবে পাবো ? বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আনেয়ারুল ইসলাম মান্নু বলেন, মুলতঃ বোর্ডের নিজস্ব ভবন না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাময়িক সমস্যা হচ্ছে বলে জেনেছি। আমরা চাই দ্রুত বোর্ডের নিজস্ব ভবন নির্মিত হোক। আর তাড়াতাড়ি যেন শিক্ষকরা খাতা মুল্যায়নের পারিশ্রমিক পায়। বোর্ডটির সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারের ভুর্তুকির টাকা থেকে পরীক্ষার খাতা মুল্যায়নের টাকা দেয়া হয়ে থাকে। গত মাসে আমরা ওই ভুর্তুকির টাকার চেক পেয়েছি। আমরা এখনো রাজশাহী বোর্ডের অধীনে থাকায় আমাদের দাপ্তরিক কাজের সমস্যা হচ্ছে। ফলে খাতা মুল্যায়নের টাকা দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বোর্ডের খাতা মুল্যায়নে বছরে ব্যয় হয় প্রায় ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দিনাজপুর বোর্ডের নিজস্ব বিল্ডিং এ যাবো। সেইসাথে পরীক্ষকদের ডাটাবেজ তৈরী হলে সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে খাতা মুল্যায়নের টাকা অনলাইনে দেয়া সম্ভব হবে। দিশিবো’র বিদ্যালয় পরিদর্শক রবীন্দ্র নারায়ন ভট্টাচার্য বলেন, পরীক্ষকদের পারিশ্রমিক আমার বিভাগে নয়, তবে অনেকেই আমাকে অবগত-অভিযোগ করেন। আমরা স্বয়ং সম্পন্ন হলেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের (দিশিবো) অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের জেএসসি পরীক্ষার খাতা মুল্যায়নের টাকা পায়নি প্রায় ৮ হাজার পরীক্ষক। ওই টাকা পাওয়া নিয়ে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। গত ডিসেম্বরে ২০১৬ সালের জেএসসি পরীক্ষারও ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।
দিশিবো’র পরীক্ষা শাখা সুত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলবাসীর আন্দোলনের ফসল দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে প্রায় আড়াই হাজার সরকারী-বেসরকারী স্কুল ও কলেজ রয়েছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বোর্ডটির অধীনে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ২ লাখ ১৭ হাজার ৯২৪ জন শিক্ষার্থী ১২টি বিষয়ে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওইসব খাতা মুল্যায়নে ৭ হাজার ৯’শ জন পরীক্ষক এবং ৩’শ ৬৭ জন প্রধান পরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। ওই খাতাগুলো শিক্ষকরা মুল্যায়ন করে ডিসেম্বরেই বোর্ডে প্রেরন করে। এরপর প্রায় ১৩ মাস অতিবাহিত হলেও বোর্ড কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের পারিশ্রমিক দেয়নি। ফলে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের কপালে ভাঁজ পড়েছে।
সুত্র আরও জানায়, ২০১৬ সালে বোর্ডেটির অধীনে গত নভেম্বরে জেএসসিতে ২ লাখ ২১ হাজার ২৪৩ জন পরীক্ষার্থী ১৩টি বিষয়ে অংশ নেয়। খাতাগুলো ১১ হাজার ৫০ জন পরীক্ষক ও ৪’শ ১৬ জন প্রধান পরীক্ষক মুল্যায়ন করেন এবং গত ২৯ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ভুক্তভোগী পরীক্ষকরা নাম না প্রকাশের শর্তে অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালের জেএসসির খাতা মুল্যায়নের প্রায় ১৩ মাস পরেও পারিশ্রমিক পাচ্ছি না। আমরা অনিশ্চয়তার মাঝে পড়েছি। সেইসাথে ২০১৬ সালের জেএসসি’র খাতাও মুল্যায়ন করেছি। এর পারিশ্রমিক কবে পাবো ? বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আনেয়ারুল ইসলাম মান্নু বলেন, মুলতঃ বোর্ডের নিজস্ব ভবন না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাময়িক সমস্যা হচ্ছে বলে জেনেছি। আমরা চাই দ্রুত বোর্ডের নিজস্ব ভবন নির্মিত হোক। আর তাড়াতাড়ি যেন শিক্ষকরা খাতা মুল্যায়নের পারিশ্রমিক পায়। বোর্ডটির সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারের ভুর্তুকির টাকা থেকে পরীক্ষার খাতা মুল্যায়নের টাকা দেয়া হয়ে থাকে। গত মাসে আমরা ওই ভুর্তুকির টাকার চেক পেয়েছি। আমরা এখনো রাজশাহী বোর্ডের অধীনে থাকায় আমাদের দাপ্তরিক কাজের সমস্যা হচ্ছে। ফলে খাতা মুল্যায়নের টাকা দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বোর্ডের খাতা মুল্যায়নে বছরে ব্যয় হয় প্রায় ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দিনাজপুর বোর্ডের নিজস্ব বিল্ডিং এ যাবো। সেইসাথে পরীক্ষকদের ডাটাবেজ তৈরী হলে সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে খাতা মুল্যায়নের টাকা অনলাইনে দেয়া সম্ভব হবে। দিশিবো’র বিদ্যালয় পরিদর্শক রবীন্দ্র নারায়ন ভট্টাচার্য বলেন, পরীক্ষকদের পারিশ্রমিক আমার বিভাগে নয়, তবে অনেকেই আমাকে অবগত-অভিযোগ করেন। আমরা স্বয়ং সম্পন্ন হলেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।