ঝুমুর পরিবহন দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জনের গ্রামের বাড়ি ডোমার ও জলঢাকায় শোকের মাতম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নীলফামারীর ডিমলা থেকে কুমিল্লাগামী ঝুমুর পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গিয়ে  নিহত ৬ জনের গ্রামের বাড়ি জলঢাকা ও ডোমারে চলছে শোকের মাতম।এলাকাজুড়ে এখন কান্নার রোল। নিহতদের মরদেহ বাড়িতে আসার পর থেকে তাদের এক নজর দেখতে হাজার হাজার মহিলা ও শিশু ভিড় জমায়।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতুলি নামক স্থানে  যাএীবাহী কোচটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই ৫ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে ১ জন সহ মোট ৬ জন নিহত হয় । শনিবার ভোরের দিকে  এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।রাতেই নিহতদের লাশ নিহতদের গ্রামের বাড়িতে এসে পৌছে।রবিবার নামাজে জানাজা শেষে নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের গ্রামের বাড়ি জলঢাকা এবং ৩ জনের গ্রামের বাড়ি ডোমার উপজেলায়। নিহতরা হলেন,নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা গ্রামের আয়েত আলীর ছেলে আতিয়ার রহমান (৪৮) মেলাপাঙ্গা গ্রামের জাকালার ছেলে ওমর ফারুক (২৫),গোমনাতী ইউনিয়নের পশ্চিম মাষ্টার পাড়া গ্রামের মমিনুরের ছেলে আব্দুল মালেক বাবু (১৮) এবং একই জেলার জলঢাকা উপজেলার পান্থাপাড়া গ্রামের মৃত মুনছুর আলীর ছেলে মো. শাহশাহান মিয়া (৩৫), মৃত গাটিয়া সরকারের ছেলে এনামুল হক (৪৩),ফারুক হোসেন(৪২)। দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী ঝুমুর পরিবহনের (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-৫২৩৯) একটি বাস মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী ব্রিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৪০ ফুট নিচে পাশের খালে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ৫ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে ১ জন সহ মোট ৬ জন নিহত হয় এবং চালক সহ কোচে থাকা সকল যাত্রী কমবেশী আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে ৩জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।আহত বাসযাত্রী সেকান্দর আলী বলেন, ঢাকা পার হওয়ার পরপরই চালক ঘুমের মধ্যে চালাচ্ছিলেন। আমরা বার বার চালককে বলেছিলাম একটি হোটেলে থামিয়ে মুখ-হাত ধুয়ে চা খেয়ে নিতে বলেছিলাম। তিনি আমাদের কথা শোনেননি।


ছবি তুলেছেন-জাহিদুল ইসলাম প্রধান রফিক

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8649484619788271890

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item