ডোমারের গোমনাতীতে হনুমান নিয়ে হুলুস্থূল
https://www.obolokon24.com/2017/01/blog-post_26.html
ডোমারের
গোমনাতীতে অজ্ঞাত স্থান থেকে হঠাৎ এসে আবির্ভূত হয়েছে এক হনুমান। ধূসর
বর্ণের এ হনুমানটির হাত, পা ও মুখমণ্ডল কালো। দুইদিন ধরে স্থানীয় অলক
চৌধুরীর বাড়ির উঁচু গাছের ডাল,টিনের চাল আর দেয়ালে ঝুলে, লাফিয়ে
আনন্দ-উল্লাসে অবাধে বিচরণ করে বেড়াচ্ছে সে।এ হনুমানকে একনজর দেখার জন্য
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শত শত হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছুটছে তার পিছু পিছু।
বাড়িটির
যেখানেই তার উপস্থিতি সেখানেই গিয়ে জড়ো হচ্ছে মানুষ।পরম ভক্তিভরে ফলমূল
এগিয়ে দিচ্ছে হনুমানের দিকে। তাদের বিশ্বাস, হনুমানকে একটু কিছু খাওয়াতে
পারলে মনের আশা পূরণ হবে, মিলবে পুণ্য। রামায়ণে বর্ণিত পবনপুত্র, রামভক্ত
বীর হনুমান- যার অপর নাম ‘বজরংবলি’। হিন্দু পুরাণে হনুমানকে রামভক্ত দেবতা
হিসেবে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। রামায়ণে বর্ণিত আছে, রামায়ণের মূল চরিত্র
রাম, যাকে হিন্দুরা ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করে, তাঁর অনুগত
চরিত্র হিসেবে পাওয়া যায় এই হনুমানকে।
হনুমান রামের স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য লঙ্কায় অভিযান চালায়।
হনুমান রামের স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য লঙ্কায় অভিযান চালায়।
স্থানীয়রা
জানায়,মঙ্গলবার নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মেলাপাঙ্গায় প্রথম হনুমানটির
দেখা মেলে। এরপর গতকাল বুধবার সকালে গোমনাতীর বাজার এলাকায় একটি গাছে তাকে
দেখে এলাকার উৎসুক মানুষ।পরে সেটি গাছগাছালি ঘেরা অলক চৌধুরীর বাড়িতে
মেহমানের মতো আশ্রয় নেয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত হনুমানটি
সেখানেই অবস্থান করছে।ক্রমে মুখে মুখে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে হনুমানের আগমন
বার্তা। শত শত মানুষ, বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ও
শিশুরা এ হনুমানকে একনজর দেখার জন্য ছুটে এসে ভিড় জমায়। এ সময় কেউ কেউ
পবনপুত্রকে পেয়ারা, কলা, আপেলসহ নানা ফল দিয়ে তুষ্ট করেন।ধারণা করা হচ্ছে,
হনুমানটি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে।হয়তো জেলার ভারত সীমান্তবর্তী ডোমার বা
ডিমলা উপজেলার কোন সীমান্ত দিয়ে একটি বাংলাদেশে এসেছে।