বেরোবিতে ছাত্রলীগের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

মামুনুর রশিদ মেরাজুল-

রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সাংবাদিক সজীব হোসাইনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সজীব হোসাইন।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে এমন অভিযোগের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে গেলে তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়। সাংবাদিক সজীব হোসাইন জাগো নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, দুপুরে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের নামে মানসিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

খবর পেয়ে পুলিশ চার র‌্যাগিংকারীকে হাতেনাতে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সম্পাদক মারুফ ভূঁইয়া, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি পার্থ প্রামাণিক ও রসায়ন বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিনের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা ফাঁড়িতে গিয়ে আটক ওই চারজনকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।

এ সময় ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহের জন্য সজীব হোসাইনসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগের নেতাকমীরা। একপর্যায়ে গাছের ডাল ভেঙে তাদের মারার জন্য তেড়ে আসেন। এতে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই এরশাদ আলী, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তপন কুমার রায় ও সদস্য সাইফুল ইসলাম বাধা দিলেও তা উপেক্ষা করে সজীব হোসাইনকে মারধর করেন তারা।

এ ঘটনায় লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক সজীব হোসাইন লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির জন্য বিকেলে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এরশাদ আলী বলেন, র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়। আটকের একটু পরই পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয় কয়েকজন। এ সময় তারা গাছের ডাল ভেঙে তেড়ে এসে একজন সাংবাদিককে মারধর করেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মীর তামান্না ছিদ্দীকা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর মীর তামান্না ছিদ্দীকা বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। আমি নিজেও সেখানে ছিলাম। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

এদিকে কি কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন, এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায় নি।

এ ব্যাপারে কথা বললে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 9097594128556621883

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item