বিলুপ্ত ছিট মহলের শিক্ষিত বেকারদের অগ্রাধিকার দিতে হবে ছিটের প্রতিষ্ঠানে ...... এ্যাড.নুরুল ইসলাম সুজন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 
সাবেক ছিটমহলের শিক্ষিত বেকারদের অগ্রাধিকার দিতে হবে ছিটের প্রতিষ্ঠানে। বিদ্যালয়গুলোতে দুরে থেকে শিক্ষক নিয়ে এসে কাছের যারা আছে তাদেরকে নিয়োগ দেবেন না তা ঠিক হবে না। মোটা অংকের টাকা নিয়ে বানিজ্য করবেন সেটা হবে না।
বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী তালতলা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজন।
২৪ডিসেম্বর আয়োজিত ঘন্টা ব্যাপি উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন,দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাচানাত জামান চৌধুরী জজ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আ.স.ম. নুরুজ্জামান, ১নং চিলাহাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল মোস্তাহারুল হাচান প্রধান নয়ন, ৭নং টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মিঠু, চিলাহাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ।
সংসদ সদস্য দেবীগঞ্জ উপজেলার ১২টি রাস্তার মধ্যে কয়েকটি রাস্তার কাজ পরিদর্শন করে জনসাধারণের কাছে সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নতুন ভুখন্ডের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ইতিমধ্যে আপনারা দেখতে পেয়েছেন। এখন রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন চলছে।এই বিলুপ্ত ছিটমহল একটি মডেল হিসেবে তৈরি হবে। তাঁর বক্তব্যে সাবেক ছিটের অসহায়-দূস্থদের ভিজিডি-ভিজিএফ ভাতার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি প্রায় ১২শত দূস্থ মানুষ এই সুবিধা পাবেন বলে  উল্লেখ করেন। এসময় তিনি বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী তালতলা উচ্চ বিদ্যালয়-এর ৮লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাচানাত জামান চৌধুরী জজ বলেন, ছিটমহল যার নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ করেছে তার পতাকা তলে আসুন সারিবদ্ধ হই। উন্নয়নের জন্য কাজ করি। সাবেক ছিটবাসিকে যারা ভিন্ন পথে ধাবিত করার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা এই সাবেক ছিটের সহজ-সরল মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করবেন না। সংশোধন হন।
এদিকে আলোচনা সভা শেষে সাবেক ছিটমহলের কয়েকজন বাসিন্দা বলছেন, সাবেক ছিট মহলে নানা উন্নয়নের মধ্যে বিদ্যালয় স্থাপন অন্যতম। কিন্তু সেসব বিদ্যালয়ে এখানকার শিক্ষিত বেকারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। মোটা টাকার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বিদ্যালয়গুলোতে স্থান দিয়েছে দুরদুরান্ত থেকে আসা ছেলেমেয়েদের। তারা এও বলছেন, সরকার যেহেতু ছিটের জন্য এতো কিছু করলেন তাহলে ২০১১ ও ২০১৫ সালের জনগণনা অনুযায়ী কোটা সিস্টেম চালু করে ছিটের ছেলেমেয়েদের অগ্রাধিকার দিন। তবেই এই এলাকার উন্নয়ন হবে এবং শিক্ষিত বেকারদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১জুলাই মধ্যরাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১১১টি ছিটমহলের নাগরিকদের ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দ্রা চুক্তির বাস্তবায়নের মাধ্যমে নাগরিকতা প্রদান। এরই ধারাবাহিকতায় সাবেক ছিটমহলে বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাটসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প চালু হয়েছে। 

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6226031418680203137

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item