পীরগঞ্জের টুকুরিয়া ও চৈত্রকোলে মদ হেরোইন-ইয়াবা’র জমজমাট ব্যবসা!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার প্রস্তাবিত ভেন্ডাবাড়ী থানার  টুকুরিয়া ও চৈত্রকোল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মদ তৈরী ও বিক্রি, হেরোইন-ইয়াবা’র জমজমাট ব্যবসা চললেও অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকায় প্রশাসন। মাদকের ভয়াবহতা থেকে  রক্ষা পাবার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের একাধিক অভিযোগ দিলেও লোক দেখানো অভিযান চললেও পরবর্তীতে নীরব থাকে সবাই। এতে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছেন এই দুই ইউনিয়নের জনগণ। দিন দিন এর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। গ্রামবাসী জানায়, প্রস্তাবিত ভেন্ডাবাড়ী থানার  টুকুরিয়ার বিছনা,মেরীপাড়া,করতোয়া নদীরপাড়,মোনাইল,তরফ মৌজা, খালাশপীরহাট,দুধিয়াবাড়ী,হরিনা,কাশিপুর ও চৈত্রকোল ইউনিয়নের জলাইডাংগা,দানিশনগর, আদিবাসীপাড়া,হাজীপুর,দুর্গাপুরসহ পার্শ্ববর্তি মিঠাপুকুর থানার মিলনপুর,চৌধুরী গোপালপুরে দীর্ঘদিন থেকে চলতো চোলাই মদ,ইয়াবা ও হেরোইনের রমরমা ব্যবসা। মাদকসেবীরা কিনে  বাড়ীতে কিংবা মাদকের ক্রয় করা বাড়ীতে খেয়ে শুরু করেন মাতলামি।
প্রকাশ্যে মাতলামি করলেও নীরব ভূমিকাই থাকে প্রশাসন। প্রশাসনের বা কি করার আছে?  মাদক বিক্রির সাথে প্রকাশ্যে ও অথবা গোপনভাবে সাথে জড়িত স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। বেশ কয়েকজন মাদক বিক্রেতা একাধিকবার আটক হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় শুরু করেন এ ব্যবসা। এবার শুরু হয়েছে হেরোইন ও ইয়াবা’র জম্পেশ ব্যবসা। হেরোইন-ইয়াবা সেবন করতে হাঁস-মুরগী বাড়ীর আসবাব পত্র থেকে শুরু করে এমনকি ছাগল বিক্রি করেও মেটাচ্ছেন এ নেশা।ইদানিং ছেলেদের পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েছেন মেয়েরাও।
মাদকের সাথে চলে আরো অনেক কিছু। কিন্তু দেখেও যেন কেউ দেখে না। নজরও দিতে চায় না অনেকে। থানা-পুলিশ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশদের বলেও কোন লাভ হয় না। চৈত্রকোল ও টুকুরিয়াবাসীর দাবী অতি শীঘ্রই যুবসমাজ ধ্বংসকারী মদ তৈরী ও বিক্রি, গাজা, হেরোইন-ইয়াবা’র মতো ভয়াবহ মরণ নেশা এই মুহূর্তে বন্ধ না হলে যুব ও তরুণ সমাজ অতি শীঘ্রই ধ্বংসের পথে ধাবিত হবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2548102047617463310

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item