রংপুরে ন্যাশনাল সার্ভিসে নিয়োগে চরম দুর্নীতি অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা

মামুনুর রশিদ মেরাজুল  ঃ
রংপুরের গংগাচড়ায় ন্যাশনাল সার্ভিসের ৪র্থ ধাপে নিয়োগ দেওয়ার নামে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার এনামুল কবির তার অফিসের কর্মচারি ও দালালদের মাধ্যমে প্রতিজন প্রার্থীর কাছ থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে নিয়োগ প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সঠিক বয়স ও সার্টিফিকেট থাকা স্বত্ত্বেও কিছু প্রার্থীকে নানা ত্র“টি দেখিয়ে বাতিল করে তার স্থলে নতুন প্রার্থী নিয়োগে ৩০-৩৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে ঐ দুর্নীতিবাজ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। ফলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্র“ত একটি বাড়ি একটি চাকুরি প্রকল্পের সুনাম ভেস্তে যেতে বসেছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস ও ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্র“ত ন্যাশনাল সার্ভিসের কার্যক্রম ২০১৫ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুরু হয়। উপজেলায় শিক্ষিত বেকারদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে তার তালিকা অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন ৪টি পর্বে ভাগ করে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে পরবর্তীতে ন্যাশনাল সার্ভিসের নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রদান করে। প্রথম ব্যাচটি তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সামসুজ্জামান আজাদের তত্ত্বাবধানে কিছুটা সঠিকভাবে হয়। তাদের দুইজনের বদলী হলে লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা এনামুল কবির উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সামসুজ্জামান আজাদের স্থলাভিষিক্ত হয়। তার যোগদানের মধ্য দিয়েই শুরু হয় গংগাচড়াবাসীর প্রত্যাশিত ন্যাশনাল সার্ভিসে চরম দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা। এ যেন দুর্নীতি-অনিয়মের স্বর্গরাজ্য। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা স্বয়ং তার অফিসের কর্মচারি দেলোয়ার সহ উপজেলায় অবস্থিত তার আত্মীয়-স্বজন ও দালালের মাধ্যমে ১৫-৩০ হাজার টাকা নিয়ে চাকুরিজীবি ভূয়া সার্টিফিকেটধারী, ভূয়া জন্ম সনদ, ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র এমনকি পার্শ্ববর্তী কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকার লোকদেরকে নিয়োগ প্রদান করে। যা গত ০৩/১২/২০১৬ইং শনিবার প্রকাশিত ন্যাশনাল সার্ভিসের ৪র্থ পর্বের প্রায় ১২৫০ জনের তালিকা যাচাই-বাছাই করলেই এর সত্যতা মিলবে। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে গিয়ে দেখা যায় ঐ দুর্নীতিবাজ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গত দুই দিন ধরে অফিসে আসেন না। তার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে ন্যাশনাল সার্ভিসে নিয়োগ প্রদান কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ন্যাশনাল সার্ভিসে নিয়োগ প্রদানে কিছুটা ত্র“টি বিচ্যুতির কথা স্বীকার করে বলেন, প্রার্থীদের কাছ থেকে বহিরাগত দালালরা টাকা নিয়েছে, সেটা আমাদের কাছে ধরা পড়েছে। এর সাথে অফিস স্টাফ কেউ জড়িত নয়। তিনি দাবি করে বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ দেওয়ার। এখনও কিছু সমস্যা আছে যা আমাদের মাঝে আলোচনা করে ঠিক করে নেয়া হবে। উপজেলাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে ঐ দুর্নীতিবাজ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সহ জড়িত সকল দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দাবি করেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 6674364465283291880

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item