অল্পের জন্য রক্ষা পেলো ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মিতু,ভুল চিকিৎসার অভিযোগ!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ

পীরগঞ্জে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা পেল ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী মিতু। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কারণে তাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরও করা হয়েছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে তার শাস্তির দাবীতে রংপুরের সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার রোজবাহাপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার কন্যা ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী মিতু। গত ১২ ডিসেম্বর তার পেটের বাম পার্শ্বে ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। পরে তাকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জিয়াউর রহমান রাউন্ডে এসে দেখে আল্ট্রাসনোগ্রামসহ বেশ কটি পরীক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে ‘জনসেবা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ পাঠায়। ১৩ ডিসেম্বর মিতু ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে ডাঃ জিয়াউর রহমান নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম করে এবং রিপোর্টে সরাসরি এ্যাপেনডিসাইটিস হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। অন্যান্য রিপোর্ট দেখে মিতুকে রংপুরে গিয়ে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেয়। একপর্যায়ে ১৫ ডিসেম্বর রংপুরের রেইনবো ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশন থিয়েটারে মিতুকে নেয়া হয়। এ সময় অপারেশনের সার্জন ডাঃ মোস্তফা জামান চৌধুরি রোগের ব্যাপারে শুনে অপারেশন না করে আবার তার সিবিসিসহ অন্যান্য পরীক্ষা করতে বলেন। ওই ক্লিনিকের প্যাথলজিতে পরীক্ষা করে তারা নিশ্চিত হন এটি এ্যাপেনডিসাইটিস নয়। ফলে অপারেশন বাতিল করে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রোগিকে ছেড়ে দেয়। মিতুর পরিবার ডাঃ জিয়াউর রহমানের ভুল চিকিৎসার প্রমান পেয়ে গতকাল বৃহষ্পতিবার ডাঃ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবী করে রংপুরের সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মিতুর খালু নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা অসহায়-নিরুপায় হয়ে ডাক্তারের কাছে যাই। আর তারাই আমাদেরকে সহজ-সরল পেয়ে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা তার (ডাঃ জিয়া) বিচার চাই। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোখলেছার রহমান বলেন, এর আগেও ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি। রংপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ হিমাংশু লাল রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। কোন অবস্থাতেই আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সরাসরি এ্যাপেনডিসাইটিস কথা লেখা যাবে না। বিষয়টিন্দন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডাঃ জিয়া বলেন, রিপোর্ট ঠিক আছে। সাংবাদিকরা এর আগেও আমার বিরুদ্ধে এ রকম ঘটনা লিখেছিল। বিষয়টিতো সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। তিনিই কি করেন, দেখেন ?
উল্লেখ্য, মিতুর বাবা-মা দুজনই ঢাকায় গার্মেন্টস কর্মী।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 1656075806698941551

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item