যদি বর্ষে পুষে (পৌষে),কড়ি আসে তুষে'।নীলফামারী জেলায় পৌষ মাসে হঠাৎ বৃষ্টি।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পৌষের এই মাঝামাঝি সময়ে নীলফামারী জেলা জুড়ে হঠাৎ শুরু হয়েছে আষাঢ়ের বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকে,গোটা জেলা জুড়ে কোথাও ভারি তো কোথাও মাঝারি, আবার কোথাও গুড়ি গুড়ি বর্ষণ রুপ নিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে।হিমালয়ের পাদদেশের জেলাটিতে এনমিতেই কনকনে ঠান্ডা।তার উপর এই বৃষ্টিতে বাড়তি শীতের মাত্রা যোগ হয়েছে।ফলে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।খনার বচনে আছে, 'যদি বর্ষে পুষে (পৌষে), কড়ি আসে তুষে'। অর্থাৎ পৌষে বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষক তুষ বেচেও অঢেল টাকাকড়ির বন্দোবস্ত করবে।খনার বচনে অঢেল টাকা কড়ির কথা বলা হলেও সাবেক এক কৃষি কর্মকর্তা জানান, পৌষ মাসে বৃষ্টি হলে এবং সে বৃষ্টিতে যদি পানি জমে যায় তাহলে কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়। সবজির ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। এতে আলু পাতাপোড়া রোগে আক্রান্ত হয়। এক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণে টমেটো গাছ মরে যায়। এছাড়াও বোরো ধান আক্রান্ত হয় কোল্ড ইনজুরিতে (শীতজনিত রোগ)।ধারাবাহিকভাবে কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হলে ক্ষেতের রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়।এতে বাজারে সবজির সংকট দেখা দিতে পারে।তবে পানি যদি না জমে তাহলে শাক শবজি সহ জমির উপকার হয় এবং 'এই বৃষ্টির ফলে ভুট্টা ও মরিচ চাষিরা লাভবান হবেন।তাছাড়া 'এই বৃষ্টির ফলে মাটিতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যুক্ত হবে। এ ছাড়া গাছের পাতা থেকে ধুলাবালি সরে গিয়ে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া সহজ হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2222530242344358508

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item