নীলফামারীতে সচল সড়কে অচল সেতু

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৫ ডিসেম্বর॥
নীলফামারী-ডোমার সড়কে বুড়িখোড়া নদীর ওপর পারঘাট সেতুটি প্রায় এক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুর ওপর দিয়েই চলাচল করছে ভারী যানবাহন ও যাত্রীরা। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, সচল সড়কে অচল সেতুটি এখন মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে।
সড়কটি নীলফামারী ডোমার সড়ক বলে পরিচিত হলেও ডোমার, ডিমলা, দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়, তেঁতুলিয়া, বাংলাবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, বোদাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহস্রাধিক যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করছে। অথচ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সেতুর দুই প্রান্তে শুধু সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েই দায় সেরেছে। এখন পর্যন্ত এটি সংস্কার করা হচ্ছে না। যে কোন সময় সেতুটিতে বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় সওজ বিভাগ সুত্র মতে নীলফামারী সদর উপজেলার কচুয়া নামক স্থানে ওই সেতুটি ২৬ মিটার দীর্ঘ। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় প্রায় এক বছর আগে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দুই প্রান্তে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে গতিরোধক দেয়া হয়। সেতুর ভাঙা রেলিংয়ের স্থানে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। যাতে করে যানবাহনের চালকেরা ঝুঁকিপূর্ন সেতুর অবস্থান বুঝতে পারেন।

 সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর পূর্ব প্রান্তের রেলিং ভেঙে পড়েছে। এটির মধ্যস্থলে পাটাতন ভেঙে গেছে। সেখানে লোহার পাত দেওয়া হয়েছে। সেতুর মাঝখানের মূল খুঁটির গোড়ায় গাঁথুনির ইট খুলে পড়েছে। সেতুর দুই প্রান্তে সড়কে দুটি করে চারটি গতিরোধক এবং চারটি লোহার খুঁটি বসানো হয়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দুই প্রান্তে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।

সেতুর নিকট কচুয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, সেতুটি প্রায় এক বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। এখানে গত ছয় মাসে অনেক ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটেছে। প্রায় চার মাস আগে ঢাকা থেকে ডোমারগামী একটি নাইট কোচ সেতুর নিচে পড়ে অনেক যাত্রী আহত হয়েছিলেন। কিন্তু সেতুটি নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেই। সচল রাস্তায় অচল ব্রীজ এইটা হতে পারে না।

 ট্রাকচালক খোরশেদ আলী বলেন তিনি পঞ্চগড়ের বালাবান্ধা হয়ে এই পথে মালামাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন। তিনি বলেন  ঠাকুরগাঁও দিনাজপুরের দশ মাইল হয়ে সৈয়দপুর দিয়ে গেলে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা বেশী হয়। তাই নীলফামারীর এই রাস্তা টি সহজ এবং কম দুরন্ত বলে এই পথটি সকল ট্রাক চালকরা ব্যবহার করছে।
বাসচালক রহমান মিয়া বলেন,এই পথে নীলফামারী হয়ে ডোমার, ডিমলা, দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়, তেঁতুলিয়া, বাংলাবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, বোদাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহস্রাধিক যানবাহন প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পারাপারে ভয়ের মধ্যে থাকি।

সওজ নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম হামিদুর রহমান বলেন, সেতুটি সংস্কারের আর উপযোগী নয়। এটি এখন ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। নির্মাণে প্রয়োজন হবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। প্রায় পাঁচ মাস আগে মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4451909602498308165

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item