ফলোআপ - নীলফামারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

বিশেষ প্রতিনিধি, ১১ ডিসেম্বর॥
নীলফামারী সদর উপজেলায় গতকাল শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা শুরু করতে না পারার কারণ জানতে চেয়ে পত্র প্রদান করা হয়েছে সদর উপজেলা প্রাথমকি শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার শরীফুল ইসলামকে।
আজ রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বণিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব চেয়ে ওই কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রেরিত ওই নোটিশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেন সদর উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা দপ্তর।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বণিক আজ রবিবার বিকেলে বলেন, নির্দিষ্ট দিনে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু করতে না পারারার কারণ জানতে চেয়ে সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার শরীফুল ইসলামকে সকালে ২৪ ঘন্টার সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। সেটির জবাব এখনো পাইনি। জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার শরীফুল ইসলাম নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেন। জবাব দিয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটি আমার এখতিয়ার, সাংবাদিকদের  বলবো কেন ? তবে কর্তৃপক্ষকে জবাব না দিয়ে কোন উপায় আছে কি ?’ সারা দেশের অনেক স্থানে এমন পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। কিন্তু এখানে হৈ-চৈ ফেলেছেন আপনারা (সাংবাদিকরা)।’
তিনি উল্লেখ করে বলেন, প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ শেষ না হওয়ার কারণে সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। জেলা কর্মকর্তাকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণ মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। গতকাল শনিবারের পরীক্ষা স্থগিত করে আগামী ১৯ ডিসেম্বর ওই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ রবিবার পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী সকল শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেগুলো বলেতো এখন আর লাভ নেই।
প্রসঙ্গতঃ গতকাল শনিবার থেকে ভিন্ন প্রশ্নে জেলার ছয় উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা (প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী) শুরু হওয়ার কথা। ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের রুটিন প্রদান করা হয় শিশু শিক্ষার্থীদের। সে অনুযায়ী জেলার পাঁচ উপজেলায় গতকাল শনিবার প্রথম দিনে সকল শ্রেণীর গণিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও সদর উপজেলায় প্রশ্নপত্র চাপা ও সরবরাহ না হওয়ায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি উপজেলার ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যলয়ে। ফলে পরীক্ষা দিতে এসে ওই ২০৭ বিদ্যালয়ের ৩৮ হাজার ৭২৪ জন শিশু শিক্ষার্থী বিরম্বা শিকার হয়। এ সংক্রান্ত একটি রির্পোট গতকাল শনিবার অবলোকনেপ্রশ্নপত্র সরবরাহ নেই॥ নীলফামারীতে প্রাথমিকের পরীক্ষা হলো না” শিরোনামে  প্রকাশিত হয়েছিল।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8359718124758662803

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item