নীলফামারীতে বধ্যভুমিগুলোতে একযোগে আলো প্রজ্জ্বলন করা হলো

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ॥
আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালন করা হলো নীলফামারীতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬টায় নীলফামারী সরকারী কলেজে চত্বরে থাকা ৭১ এর পাকি সেনা ও রাজাকার আলবদর বাহিনীর হাতে গণহত্যার বধ্যভুমির স্থানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করা হয়। এ ছাড়া জেলার ডিমলা,জলঢাকা,সৈয়দপুরের বধ্যভুমিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ অনুরূপ কর্মসুচী পালন করে। আলো প্রজ্জ্বলিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার গুলোর সদস্য সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
নীলফামারী সরকারি কলেজে আলো প্রজ্জ্বলিত ও এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে কলেজের অধ্যক্ষ দেবী প্রসাদ রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উক্ত কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক গোলাম মওলা খান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হাসান,সম্মিলিত সাংস্কৃতিজোটের জেলা আহবায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল,সাংবাদিক তাহমিন ববী ও কলেজের শিক্ষার্থী মনিরুল হাসান আপেল প্রমুখ।
উল্লেখ যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা যে গনহত্যা চালিয়েছিল তার দৃষ্টান্ত বিরল।এত কম সময়ে একটি মাত্র দেশে ৩০ লক্ষেরও বেশী মানুষ কোথাও হত্যা করা হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এ ধরনের ঘটনা ছিল প্রথম। শুধু তাই নয়,হত্যার সঙ্গে নির্যাতন করা হয়েছিল ৬ লক্ষের বেশী নারীকে। যারা পরিচিত বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। এ ছাড়া নিপিড়িত হয়েছে  অসংখ্য মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণহত্যার শিকারগ্রস্থ ও নির্যাতিত মানুষদের স্মৃতির  প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ১১ সেপ্টেম্বর /২০১৫ জাতিসংঘের সাধারন সভায় ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যার শিকারগ্রস্থদের স্মরন ও মর্যাদান এবং গণহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে প্রচার করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সেই সিদ্ধান্তে বধ্যভুমিগুলোতে আলো প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে  দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2080446364841435039

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item