কিশোরগঞ্জে জাল সনদে ১৩ বছর চাকরি

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ দায়ের 

মোঃ শামীম হোসেন (বাবু)কিশোরগঞ্জ,নীলফামারী

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম  খায়রিয়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক সবুজ আলী বিএ(ব্যাচেলর অব আর্টস) পাশের জাল সনদপত্র দিয়ে ১৩ বছর ধরে চাকরি করে আসছেন। ঘটনাটি ফাঁস হলে মাদ্রাসা সুপার ওই শিক্ষকের বিরোদ্ধে আইনানুগ  ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য   উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাড়াগ্রাম খায়রিয়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক হিসাবে সবুজ আলী ( শিক্ষক ইনডেক্স নম্বর ২০০৪৫২৭) যোগদান করেন গত ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী। আবেদনের সময় ওই শিক্ষক বিএ পাশের মুল সনদের ফটোকপি দিয়ে আবেদন করেন। তিনি মাদ্রাসায়  নিয়োগ যোগদান করেও মুল সনদ পেশ করেননি। মাদ্রাসায় নিয়োগ যোগদানের পর মাদ্রাসা সুপার আফজালুল হক তার বিএ পাশের মূল সনদ দেখতে চাইলে ওই শিক্ষক বিভিন্নভাবে তালবাহনা করে সময় ক্ষেপন করে আসেন। পরে সংশ্লিষ্ঠ কলেজে গিয়ে নম্বরপত্র যাচাই করা হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কম্পিউটার শিক্ষক সবুজ আলী ২০০১ সালে নীলফামারী সরকারী কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। ওই পরীক্ষায় সে বাংলায় ২০ ও ইংরেজিতে ১৬ নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হয়। সংশিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষের সিল ও স্বাক্ষর যুক্ত প্রত্যায়ন পত্রটি হুবহু  তুলে ধরা হল। এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, মোঃ সবুজ আলী রোল নম্বর ১৫৩৪২৮ রেজিঃ নম্বর ১১৩৮০৫ ও শিক্ষাবর্ষ ২০০১, জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনে ২০০১ সালে বিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে অকৃতকার্য হয়েছে। উল্লেখ্য যে, রোল নম্বর ১৫৩৪৭৯ রেজিঃ নম্বর ও শিক্ষাবর্ষ ১১৩৮৮৩/২০০১ এর পরীক্ষার্থী হিসাবে মোঃ রাকিবুল হায়াত ২০০১ সালের বিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে দ্বিতীয় বিভাগে উর্ত্তীণ হয়েছে। শিক্ষক সবুজ আলী নিজ নামে রাকিবুল হায়াতের রোল নম্বর ও রেজিঃ নম্বর ব্যবহার করে বিএ পাশের জাল সনদপত্র তৈরী করে চরম জালিয়াতি করে ১৩ বছর ধরে চাকরির  নামে  লাখ লাখ সরকারী টাকা আতœসাৎ করে আসছেন।
অভিযুক্ত কম্পিটার শিক্ষক সবুজ আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার সব সনদ ঠিক আছে। একটি পক্ষ তাকে ফাঁসানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
মাদ্রসা সুপার আফজালুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই শিক্ষকের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসানের যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 7067163922372434259

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item