জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্রে মোবাইল বা ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না

বিশেষ প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর॥
আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ সময় প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা এখন প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর হতে প্রচারনার সময় শেষ হয়ে যাবে। আর এ জন্য আজ রবিবার সরেজমিনে দেখা যায় জেলার ৬১ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভা গুলো চত্বর ছিল প্রার্থীদের আনাগোনা সব থেকে বেশী। এই নির্বাচন ঘিরে যেহেতু ভোটার শুধুমাত্র জনপ্রতিনিধি সেহেতু ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা গুলো ছিল মুখোরিত।

নীলফামারীতে জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী হলো দুই জন। তারা হলেন  আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মমতাজুল হক (আনারস) ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন (মোটরসাইকেল)। এ ছাড়া ১৫টি ওয়ার্ডে সাধারন ওয়ার্ড কাউনিন্সল পদে ৬৬ জন ও ও ৫টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলার পদে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

নির্বাচনে ৮৫৫ জন জনপ্রতিনিধি ভোটার হিসাবে চুড়ান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৫২ জন পুরুষ এবং ২০৩ জন নারী ভোটার হিসাবে রয়েছেন। ভোটাধিকার প্রয়োগে ১৫টি কেন্দ্রে ৩০টি ভোট কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২টি করে ভোট কক্ষ রাখা হয়েছে। সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে বিরতিহীনভাবে গ্রহন গ্রহন।

এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে এই নির্বাচনে দুই নম্বর ওয়ার্ডে ছয় জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থী ভোটারদের হুমকী প্রদান করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু ভোটার জানান, ভোটের দিন ওই প্রার্থী তার প্রতিকে ভোট প্রদান করে সেই ব্যালটটির ছবি মোবাইলে তুলে ভোটারদের বাহিরে এসে তা দেখার জন্য হুমকী দিয়েছে। তাকে ভোট না দিলে ভোটারদের বিভিন্নভাবে হুমকীও প্রদান করা হয়।
 এ ব্যাপারে কথা বললে এই নির্বাচনের সহকারি রির্টানীং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে সকল প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে নির্বাচনে সকল প্রকার নিয়মকানুন অবগত করা হয়েছে। ভোটের নিয়ম অনুয়ায়ী  ভোটার ও  প্রার্থীরাও ভোট কেন্দ্রের ভেতর মোবাইল বা ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ  করতে পারবেনা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে সাংবাদিকদের পুর্ব অনুমতির জন্য জেলা রির্টানীং অফিসারের নিকট পূর্বঅনুমোদনের কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের কর্তব্যরত প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। অহেতুক কেউ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে অরাজকতা সৃস্টি করার চেস্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতেঃ- কেতকীবাড়ি, ভোগডাবুড়ী, জোড়াবাড়ী ও বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধরণ কাউন্সিলার প্রার্থী ৬ জন।
ডিমলা, বালাপাড়া, বামুনিয়া, পাঙ্গামটুকপুর ও গোমনাতী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ৬ জন।
পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে  সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ২ জন।
গয়াবাড়ী, নাউতারা, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ৫ জন।
কাঁঠালী, গোলমুন্ডা, বালাগ্রাম ও জলঢাকা পৌরসভা নিয়ে গঠিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রাথী ৫ জন।
গোলনা, ধর্মপাল, শিমুলবাড়ী ও মীরগঞ্জ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ৩ জন।
ডোমার পৌরসভা, সোনারায়, হরিণচড়া ও ডোমার ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ৫ জন।
চওড়াবড়গাছা, গোড়গ্রাম, পলাশবাড়ী ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ৬ জন।
টুপামারী, রামনগর, কচুকাটা ও পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ৩ জন।
নীলফামারী পৌরসভা, ইটাখোলা, কুন্দুপুকুর ও খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রাথী ৩ জন।
সোনারায়, সংগলশী, চড়াইখোলা ও চাপড়া সরমজানী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ৪ জন।
সৈয়দপুর পৌরসভা, বাঙ্গালীপুর, বোতলাগাড়ী ও কামারপুকুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ৪ জন।
বাহাগিলী, পুটিমারী, নিতাই, কাশিরাম বেলপুকুর ও খাতামধুপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রাথী ৪ জন।
খুটামারা, ডাউয়াবড়ী, শৌলমারী, কৈমারী ও বড়ভিটা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রাথী ৪ জন।
মাগুড়া গাড়াগ্রাম, রনচন্ডি, কিশোরীগঞ্জ ও চাঁদখানা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার ৬জন।

অপর দিকেঃ- কেতকীবাড়ি, ভোগডাবুড়ী, জোড়াবাড়ী, বোড়াগাড়ী, ডিমলা, বালাপাড়া, বামুনিয়া, পাঙ্গামটুকপুর, গোমনাতী, পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৩ জন।
গয়াবাড়ী, নাউতারা, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, কাঁঠালী, গোলমুন্ডা, বালাগ্রাম, জলঢাকা পৌরসভা, গোলনা, ধর্মপাল, শিমুলবাড়ী ও মীরগঞ্জ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৫ জন।
ডোমার পৌরসভা, সোনারায়, হরিণচড়া, ডোমার ইউনিয়ন, চওড়াবড়গাছা, গোড়গ্রাম, পলাশবাড়ী, লক্ষ্মীচাপ, টুপামারী, রামনগর, কচুকাটা ও পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়াডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৩ জন।
নীলফামারী পৌরসভা, ইটাখোলা, কুন্দুপুকুর, সোনারায়, সংগলশী, চড়াইখোলা, চাপড়া সরমজানী, সৈয়দপুর পৌরসভা, বাঙ্গালীপুর, বোতলাগাড়ী ও কামারপুকুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়াডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ২ জন।
বাহাগিলী, পুটিমারী, নিতাই, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, খুটামারা, ডাউয়াবড়ী, শৌলমারী, কৈমারী ও বড়ভিটা, মাগুড়া, গাড়াগ্রাম, রনচন্ডি, কিশোরীগঞ্জ ও চাঁদখানা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়াডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪ জন।

জেলা নির্বাচন অফিসের সুত্র মতেঃ- ২৮ ডিসেম্বর নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮৫৫ জন জনপ্রতিনিধি ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটারদের মধ্যে ৬৫২ জন পুরুষ এবং ২০৩ জন নারী রয়েছেন।
ভোটাধিকার প্রয়োগে ১৫টি কেন্দ্রে ৩০টি ভোট কক্ষ প্রস্তুত করেছে নির্বাচনী দফতর। প্রতিটি কেন্দ্রে ২টি করে ভোট কক্ষ রাখা হয়েছে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে গ্রহন গ্রহন।

এদিকে ১৫ টি ওয়ার্ডের যে সকল কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে সেই কেন্দ্রগুলি হলোঃ-
১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন করা হবে মির্জাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫৩ জন।
২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন করা হবে পাঙ্গা মহেশ লালা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৬৮ জন।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে জনতা ডিগ্রি কলেজে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫২ জন।
৪ নম্বর ওয়াডে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে ডালিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫২ জন।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে জলঢাকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫২ জন।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে মীরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫২ জন।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে ডোমার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫৩ জন।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে পলাশবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫২ জন।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে চাঁদেরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫২ জন।
১০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫৫ জন।
১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে চড়াইখোলা নগর দারোয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৫১ জন।
১২নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৬২ জন।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে নিতাই উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৬৭ জন।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে বিন্নাকুড়ি বিসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৬৭ জন।
১৫নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৬৭ জন।

প্রসঙ্গতঃ নীলফামারী জেলায় ৬১টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা রয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।  #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5335792678383731665

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item