শিক্ষক সংকটে ধুকে ধুকে চলছে চিলাহাটি সরকারী কলেজ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এখানে কাছের বা দুরের যে শিক্ষকই আসেন না কেন থাকতে চান না। সব সময় শুধু চলে যাওয়ার জন্যই তদবির করতে থাকেন। শুধু বদলি নেওয়ার জন্যই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি  অন্য এলাকার চেয়েও ভালো। শহুরে জীবনমান উন্নত হওয়ার কারণেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকগণ।
ডোমার উপজেলার ২টি সরকারী মহাবিদ্যালয়ের মধ্যে ১টি চিলাহাটি সরকারী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়। কিন্তু এখানে শিক্ষক-কর্মচারী নেই বললেই চলে। নামমাত্র কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়েই ধুকে ধুকে চলছে মহাবিদ্যালয়টি।
জরিপে দেখা গেছে, চিলাহাটি এলাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রায় ১১টি ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩টি। অত্র এলাকা দরিদ্র এলাকা হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পড়ার জন্য বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই চিলাহাটি সরকারী মহাবিদ্যালয়কেই বেছে নেয়।
চিলাহাটি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্র মফিজুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, আমি দরিদ্র ঘরের সন্তান জন্য বাহিরে ভর্তি হতে পারিনি। অনেক আশা করে এই কলেজে ভর্তি হলাম ভালো রেজাল্ট করবো বলে। কিন্তু শিক্ষক নেই। অনেক আন্দোলন করেছি। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ইমরান আহম্মেদ ইভান বলেন, এখন কলেজটিতে মাত্র ১০জন শিক্ষক আছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক সময় দেখা গেছে, ইতিহাসের শিক্ষক পৌরনীতি ক্লাস নিচ্ছেন। আবার অনেক শিক্ষক প্রক্সি হিসেবে আছেন। বিজ্ঞান বিভাগে মাত্র ১জন শিক্ষক আছেন। কি করে ভালো লেখাপড়া হবে বলুন??
কলেজটির কর্মচারী হাফিজুর রহমান জানান, কেমন করে প্রশাসন চলবে বলুন? এখানে অনুমদিত কর্মচারী ২৪জন। কিন্তু আছে মাত্র ১১জন। ২৪জনের কাজকর্ম এই ১১জনেই চালিয়ে নিচ্ছি।
কলেজটির অধ্যক্ষের নিকট এবিষয়ে জানতে চেয়ে অফিস কক্ষে গেলে তিনি দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করার ফলে তাঁর বরাদ দিয়ে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আবু সাদেক মোঃ জুন্নুন বলেন, শিক্ষক সংকটের জন্য অধ্যক্ষ লেখালেখির মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে আমার অনুরোধ থাকবে আপনাদের মাধ্যমে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে,চিলাহাটি এলাকার দরিদ্র ও মেধাবী ছেলেমেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এই মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী সংকট দূর করে শিক্ষার একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবেন।

উল্লেখ্য, চিলাহাটি সরকারী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়টি ১৯৭৩সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৮৬ সালে তৎকালিন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক জনসভায় কলেজটি সরকারী করণের ঘোষণা দেন এবং ১১ এপ্রিল’৮৭ইং কলেজটি জাতীয়করন করা হয়। কলেজটি সরকারী গর্ব করার মতো চিলাহাটি বাসীর একটা জায়গার সৃষ্টি হলেও শিক্ষার্থীদের গর্ব করার মতো লেখাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টি ও শিক্ষক-কর্মচারী  সংকট কাটেনি। বর্তমানে কলেজটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৮’শ ৫০জন। এর বিপরীতে শিক্ষক মাত্র ১০জন। সচেতন মহল ও চিলাহাটিবাসী কলেজটিতে অবিলম্বে শিক্ষক-কর্মচারী সংকট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 3605269379977336433

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item