ডিমলায় এক সমাজ গড়ার কারিগরের গল্প।

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ

নীলফামারীর ডিমলায় সমাজ গড়ার কারিগড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। একাধারে তিনি মৎস্যচাষী, সাংস্কৃতিক মনা ও মানুষ গড়ার কারিগর তিনি হলেন লিয়াকত আলী মাস্টার। দৈনন্দিন জীবনে তিনি পরিশ্রমকে সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে মনে করেন। অনেক বাধা বিপত্তি থাকা সত্বেও হতবিহম্ভ হয়ে পরেননি তিনি। তার বাড়ী ডিমলা উপজেলার দক্ষিন ঝুনাগাছ চাপানীতে। পরিবারে তার ১ ছেলে ১ মেয়ে সহধর্মীনি সহ এক নাতনি রয়েছে। এমন এক সময় ছিল যখন তার পরিশ্রমকেই প্রাধন্য দিতেন তারই ফল প্রসু আজকের সাফল্যতা। মৎস চাষ নিয়ে নিজেকেই নিজে সাবলম্বী করার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অত্র এলাকায়। পাশাপশি সাংস্কৃতিক বিষয় কলাকৌষল ও চাকুরী পেশাই তার নাম করিয়েছেন ভুরি ভুরি। সাংস্কৃতিক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ছোট বেলা ও ছাত্র জীবনের মাধ্যে ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাই এবং লেখা পড়ার পাশাপাশি গান উপন্যাস ও বাদ্য যন্ত্র বাজানো প্রভূতি ছিল আমার নিত্য দিনের নেশা। এ ব্যাপারে বাবা-মার বকুনি গেলেও এক সময় প্রকাশ পেল সাংস্কৃতি অনর্বাতা। যার হাতে গড়া সংগীত মোনা ছাত্র বিরাজ করেছে ঢাকা, রাজশাহী তথা বিভিন্ন স্থানে। বাবা মনির হোসেন ও মা জবেদার ৩ মেয়ে এক মাত্র ছেলে লিয়াকত আলী। লিয়াকত আলীকে সাংস্কৃতিক জগৎ থেকে বিমুখ করার শত আত্ম প্রায়াস ও অনেক কলাকৌশলের ফল স্বরুপ দক্ষিন ঝুনাগাছ চাপানীর দখিল মাদরাসায় অফিস সহকারী হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করান তাকে। এ ভাবে দিন কেটে যায় তার অফিসের কাজের বোঝা মাথায় নিয়ে কর্মের ফাকে ফাকে কামনা ও ইচ্ছা শক্তি জাগে তার মৎস চাষ করার কথা।

বাড়ির উঠানোর দক্ষিন  প্রান্তে ২ একর জমিতে শুরু করে মৎস চাষ। ‘‘কথায় বলে আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালি’’ মাছ আমিষের চাহিদা পূরন করে ও পাশাপাশি মাছ চাষ করে আর্থিক লাভবান হওয়া যায়। এ ব্যাপারে কথা হয় অত্র এলাকার জাহিদুল ইসলাম লেবু, আব্দুর ছাত্তার বি.এসসি, বদরুল ইসলা, নুরুজ্জামান বেলাল, চঞ্চল ও সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিন্টু তারা বলেন তিনি মৎস চাষ করে আর্থি লাভবান হওয়ার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ২ একর জমিতে রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার কাপ, সরোপুটি, তেলাপিয়া, হাঙ্গারি মাছের রেনু পোনা বা চাড়া বিক্রি ও বাজার জাত করে থাকেন খুচরা ও পাইকারীতে। মাছ ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন মৎস চাষী এসে তার মাছ নিয়ে যায়। বাৎসরিক আয়ের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ২০১৪/১৫ অর্থবছরে আয় আসে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। উলে¬খ্য এই অধম্য কারিগর যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য হোক তা সহায়ক।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 708956408346399597

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item