রংপুরের খাঁ টারী গ্রামে মসজিদের হিসাব চাওয়ায় সম্পাদক ও মুসল্লীদের মধ্যে পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে আহত-১০

হাবিবুর রহমান সেলিম,পাগলাপীর প্রতিনিধিঃ
রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ও গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী দুটি ইউনিয়নের মধ্য বর্তী খাঁ টারী গ্রামে একটি মসজিদের মুসল্লীগণ হিসাব চাওয়ায় সম্পাদক কর্তৃক মসজিদে তালা মেরে দেওয়ার ঘটনায় দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া মারপিট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সম্পাদকের সমর্থকের হাতে ১০ মুসল্লী গুরুতর আহত ও জখম হয়েছেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ বন্ধ হলেও মসজিদে তালা মারার ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মাঝে অব্যহত টানাটানা উত্তেজনা ্িবরাজ করছে। গত রবিবার ২০ নভেম্বর খাঁ টারী জামে মসজিদে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে খাঁ টারী  গ্রামের বাসিন্দা মরহুম গবির উদ্দিনের পুত্র বিশিষ্ট সমাজ সেবক ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি নছির উদ্দিন গ্রামের নামায বন্দেগীর পালনের লক্ষ্যে ১৯৩০-৩৫ সালে গ্রামের বেতগাড়ী মৌজার ২০ শতক জমি দান করে সেখানে খাঁ টারী জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর তার পরিচালনায় গ্রামের নিরীহ শান্তিপ্রিয় মুসল্লীরা সেখানে নির্বিঘেœ নামায আদায় করে আসছে। দাতা প্রতিষ্ঠাতা নছির উদ্দিন ১৯৯০ সালের পূর্বে তিনি মৃত্যু বরণ করলে উক্ত মসজিদটির পরিচালনার জন্য সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করেন মরহুম তছলিম উদ্দিনের পুত্র মোঃ তবারক হোসেন লেবু মিয়া। তবারক হোসেন লেবু মিয়া দীর্ঘ ২৫/৩০ বৎসর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন কালীন মসজিদের কোন সংস্কার তথা পুনঃনির্মান করেন নাই। মসজিদের নাম সরকারী বরাদ্দকৃত বিভিন্ন অনুদান তিনি সম্পুর্নরুপে আত্মসাৎ করেন। এমতাবস্থায় গত ঈদুল আযহায় মসজিদের মুসল্লীগণ মসজিদের আয় ব্যয়ের হিসাব চাইলে সম্পাদক তবারক হোসেন লেবু মিয়া মুসল্লীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। সুষ্ঠু হিসাবের লক্ষ্যে মুসল্লীগণ বেতগাড়ী ও খলেয়া দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের স্বরণাপন্ন হন। উল্লেখ্য উক্ত মসজিদের মুসল্লীগণ বেতগাড়ী খলেয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। মসজিদের মুসল্লীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানদ্বয় গত রবিবার ২০ নভেম্বর মসজিদ মাঠে শালিসের দিন ধার্য্য করেন। রবিবারের পূর্বে শুক্রবার বাদ জুম্মা তবারক হোসেন লেবু মিয়া মসজিদে তালা লাগান। যার ফলে ২ দিন মসজিদে নামায আদায় করা সম্ভব হয়নি মুসল্লীদের। ধার্য্যকৃত রবিবার চেয়ারম্যানদ্বয় উপস্থিত হলে শালিস বৈঠকের শুরুর পূর্বেই সম্পাদক তবারক হোসেন লেবু মিয়া ও তার বাহিনীর লোকজন চেয়ারম্যানের সামনেই চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করেন এবং মুসল্লীদের উপর চড়াও হন এবং মারপিট করেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত আফজালের পুত্র বাবুল, নভেল, তফিলের পুত্র আশিকুর, কান্দুরার পুত্র আব্দুল রশিদ, খেতাব উদ্দিনের পুত্র বাবুল, ছফুলের পুৃত্র ফুলচাঁদ, তফিল উদ্দিনের পুত্র আইয়ুব সহ ১০ জন গুরুতর আহত জখম হন। এ অবস্থায় গংগাচড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংঘর্ষ বন্ধ হয়ে যায়। সরেজমিনে খাঁটারী গ্রামের বাসিন্দা উক্ত মসজিদের মুসল্লী সাহেব আলী বাবুল মিয়া, আজিজার, আব্দুল ছাত্তার কান্দুরা, শাহ আলম, ভেলকা, মহির উদ্দ্নি, সোহায়েব সহ মুসল্লীরা অভিযোগ করে বলেন তবারক হোসেন লেবু মিয়া একটি ধর্নাঢ্য ও প্রভাব শালী ব্যক্তি হওয়ায় তার অন্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়, এমনকি বিভিন্ন অপকীর্তির লোকের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দ্বিধা করছেন না। তাই মসজিদটি পরিচালনার স্বার্থে এবং জনস্বার্থে ব্যবহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গ্রামের মুসল্লীগণ প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন। অপর দিকে এ বিষয়ে বেতগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ কামরুজ্জামান প্রামাণিক লিপ্টনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হ্যাঁ, খাঁ টারী গ্রামের শান্তিপ্রিয় মানুষরা নির্বিঘেœ উক্ত মসজিদের নামায বন্দেগীর পালন করতে পারে সে ব্যাপারে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এটির সুরাহা হবে, বলে তিনি প্রতিনিধিকে জানান।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4070085506520549516

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item