রংপুর বিভাগে মাদক ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের নামে জমজমাট ব্যবসা

হাজী মারুফ


রংপুরে দিনদিন বাড়ছে মাদকাসক্তি, বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, মদ, চোলাইমদসহ সব ধরণের মাদকদ্রব্য। পুলিশের পক্ষ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে বাগাড়ম্বর দেখানো হলেও অভিযোগ আছে যে, মূলত তাদের মাসোহারা দিয়েই চলছে এর ব্যবসা। এক দিকে মাদকাসক্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মাদকের চাহিদা। আরেক দিকে জাগায় জাগায় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র খুলে ফেদে বসা হয়েছে আরেক ব্যবসা।
পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গড়ে উঠেছে একটা চক্র। এই তিন পক্ষের মধ্য সমঝোতা এবং একে অপরকে সহায়তার মাধ্যমে গুটিসংখ্যক কিছু মানুষ লাভবান হলেও তরুণসমাজ বিশেষত জাতির ভবিষ্যৎ কান্ডারিরা করছে অন্ধকার পথের যাত্রা।   
এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, রংপুর বিভাগের আট জেলার জনসংখ্যা আড়াই কোটির উপরে। এর মধ্যে ১৬ থেকে ৫০ বছরের নারী-পুরুষের সংখ্যা প্রায় পৌনে দুই কোটির কাছাকাছি। এই বয়সী মানুষের অর্ধেক পুরুষ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৮৭ লাখ। আর বাকীটা নারী। গবেষণা মতে, এই সাড়ে ৮৭ লাখ পুরুষের প্রায় ২৫ ভাগ অর্থাৎ প্রায় ২২লাখ
পুরুষ কোন না কোন মাদকে আসক্ত। ইদানিং নারীরাও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ায় এই সংখ্যা ২৫ লাখ ছাড়িয়ে বলে অনেকের ধারণা।
বিপুল সংখ্যক মাদকাসক্ত ছেলে মেয়ের ব্যাপক চাহিদা পুরণে শহরের পাড়া-মহল্লায় এমন কি প্রত্যন্ত গ্রাম ও ভারতীয় সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলে গড়ে উঠেছে মাদকের অভয়ারণ্য। ভারতীয় গাঁজা-ফেনসিডিল-মদ, মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা, দেশে উৎপাদিত মদ, বিভিন্ন দেশ থেকে আনা মদ, দেশের চিনিকলগুলোতে উৎপাদিত রেকটিফাইট স্পিরিট এখন সহজ লভ্য মাদক।
অনেকের মধ্যে বিশেষ করে উচ্চবিত্ত্ব পরিবারের সদস্য ছেলে-মেয়েদের মধ্য মাদক গ্রহণ এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এই শ্রেণির আসক্তদের মধ্যে এতোদিন ফেনসিডিল ও বিদেশি মদের প্রচলন ছিলো। কিন্তু মরণ নেশা ইয়াবা এখন নতুন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই দুই মাদকের গন্ধ না থাকায় সরকারি-বেসরকারি চাকুরিজীবী, পুলিশ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, আইনজীবী, প্রকৌশলি, ডাক্তার, ঠিকাদার, সংস্কৃতিকর্মী, শিক্ষক, রাজনীতিককর্মীসহ সমাজে প্রতিষ্ঠিতরা এই দুই নেশায় আসক্ত।
এদিকে বড় ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, আমলা, ঠিকাদার, ডাক্তার, প্রকৌশলি, আইনজীবী, বিখ্যাত সাংবাদিকসহ বিত্ত্ববান অনেকেই পান করেন বিদেশি বা ভারত, ভূটান থেকে আসা নামি-দামি ব্র্যান্ডের মদ।
পরিবহণ শ্রমিক, রিকশাওয়ালা, কুলি-মজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে তুলনামূলক দেশি মদ, রেকটিফাইট স্পিরিট ও গাঁজা জনপ্রিয়। সম্প্রতি রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রামে রেকটিফাইট স্পিরিট পান করে ছয় জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মাদকাসক্তদের মধ্যে যেকোন এক ধরণের মাদক গ্রহণকারীর সংখ্যা বেশি হলেও একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছেলে-মেয়ে একাধিক অথবা তিন চার ধরণের মাদক গ্রহণ করে থাকেন। বিশেষত ফেনসিডিলের সঙ্গে গাঁজা, ফেনসিডিলের সঙ্গে ইয়াবা, ফেনসিডিলের সঙ্গে গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করে অনেকেই নিজেদের জাহির করেন। এদের মধ্য ধনির দুলাল, অনেক টাকা রোজগার করেন- এমন লোকজনই এই স্টাইলে মাদক গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, এমন কী স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদক গ্রহণের হার প্রায় ৪০ভাগ। এরা মূলত বন্ধুবান্ধবদের পাল্লায় পড়ে মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। পরিণত বয়সের মাদকসেবিরা সোসাইটি সামলাতে গিয়ে করছেন মাদক গ্রহণ। সংস্কৃতিকর্মী ও  সাংবাদিকসহ শিল্পমনাদের মধ্যে মাদকসেবিদের অনেকেই বলেন সৃষ্টিশীলতার জন্য তারা মাদক গ্রহণ করে থাকেন। আর নিম্ন আয়ের মানুষ সেফ বিনোদনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করছেন মাদক।
মনোরোগ চিকিৎসকদের অনেকেই মনে করেন, যেভাবেই হোক মাদকের ভয়াবহ পরিণামের পথে হাটা নারী-পুরুষদের জন্য যে কোন মাদক সেবনের প্রতিদিন ব্যয় হয় মোটা অংকের টাকা। অর্থশালিরা তাদের আয় থেকে ব্যয় করলেও শিক্ষার্থী ও নিম্নআয়ের মানুষদের ক্ষেত্রে অসৎ পথে আয় করতে হচ্ছে। আর এই আয়ের জন্য অনেকেই চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসসহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।
গরীব বা নিম্ন শ্রেণির পরিবারগুলো এরকম ঘটনাকে নিয়তি বলে মেনে নিলেও উচ্চ ও মধ্যবিত্ত্ব পরিবারগুলো মাদকাসক্ত ব্যাক্তিকে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে থাকে। আর এই সুযোগটিকে কাজে লাগাতে সমাজের কিছু অসৎ প্রকৃতির লোক খুলে বসেছেন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র।    দ্রুত গতিতে যেমন বাড়ছে মাদকাসক্তি, মাদকাসক্তদের সংখ্যা, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। রংপুরে চলমান বার্তার অনুসিন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে ভয়াবহ এক চিত্র। জানা গেছে এসব কেন্দ্রর বেশিরভাগই অনুমোদিত নয়। নিয়ম-কানুনের বালাই নেই এসব নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায়। চিকিৎসা ও কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মাদকসেবীদের সারিয়ে তোলার নির্দেশনা থাকলেও বিচিত্র নামে মারপিট করাই এসব কেন্দ্রের মুল চিকিৎসা।
রংপুর নগরীর সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার একটি চারতলা বাড়িতে চার বছর ধরে চলছিলো নতুন জীবন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নামে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র। এর পরিচালক পরিচালক জাহাঙ্গীর আনোয়ার লিমন। যিনি নিজেই একজন মাদকাসক্ত। কয়েক বছর আগে নগরীর চারতলা মোড় এলাকার অন্য একটি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা শেষে নিজেই খুলে বসেছিলেন এই কেন্দ্রটি।
সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে এই নিরাময় কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করেছে ৫২ রোগিকে। তাদের অভিযোগ, মরিচ-গুড়া, গরম-পানি, উল্টো ঝোলানো থেরাপিসহ বিচিত্র পদ্ধতিতে তাদের ওপর প্রতিদিন নির্যাতন চলতো।
নির্যাতনের শিকার কয়েকজন রোগি জানান, ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে প্রতিদিন সেখানে তাদের পেটানো হতো। কাউকে সিলিঙের সঙ্গে উল্টো ঝুলিয়ে রাখা হতো। গরম পানি ভর্তি গামলায় মাথা চেপে ধরা, মরিচ গুড়া চোখে-মুখে ছিটিয়ে দেয়াসহ বিচিত্র নামের সব থেরাপি প্রয়োগ করে চলতো নির্যাতন। পিটিয়ে এক রোগির হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া, ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আঘাত করে দাঁত ফেলে দেয়া, মাথা নেড়ে করে দেয়া, মুরগি সাজিয়ে শাস্তি দেয়াসহ নানা ভাবে মাদকাসক্তদের ওপর নির্যাতন করা হতো বলে করা অভিযোগের বিরুদ্ধে সেখানে র‌্যাব-পুলিশের সহায়তায় সাম্প্রতিক ওই অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিন্ট্রেট লিটন সরকার সাংবাদিকদের জানান, চার বছর ধরে চলে আসছিলো এই নিরাময় কেন্দ্রটি। কিন্তু তাদের কাছে বৈধতার কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, এখানে রোগিদের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের যে অভিযোগ আমরা পেয়েছিলাম তার সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই এর পরিচালক ও দুই কর্মকর্তা-কর্মচারিকে আমরা ধরেছি এবং পরিচালকের দুই মাস এবং অপর দু’জনের এক মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৈধতা না থাকায় সিলগালা করে দেয়া হয়েছে কেন্দ্রটি।
সরকারের নীতিমালায় এধরনের প্রতিষ্ঠানকে সেবাধর্মী বলা হলেও এসব কেন্দ্রের উদ্দেশ্য অন্যকিছু। অর্থাৎ বানিজ্যই এসব কেন্দ্রর মূল লক্ষ্য। বৈধতা নিয়ে ‘স্বপ্ন’ নামে একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনাকারী এক নারী পরিচালক বলেন, তিন মাসের কোর্স শেষ করে রোগি সুস্থ হবে এর গ্যারান্টি নেই। কোর্স পরবর্তী আরও দুই বছর রোগিকে আমরা ফলোআপে রাখি। এটা আসলে একটা ‘ওয়ারেন্টি’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই কেন্দ্রর কাউন্সিলর জানান, প্রত্যেক রোগির কাছে মাসে ১৫ হাজার করে তিন মাসের কোর্স ফি হিসাবে তারা ৪৫ হাজার টাকা নেন।
১০ শয্যায় ১০জন রোগির চিকিৎসার শর্তে এই কেন্দ্রটির অনুমোদন নেয়া হয়েছে। শর্ত ছিলো উন্নত খোলামেলা পরিবেশে রোগিদের রাখা, কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ও খন্ডকালিন একজন করে ডাক্তার রাখা, নিজস্ব একজন মনোরোগ চিকিৎসক রাখারও শর্ত ছিলো। সার্বক্ষণিক, খন্ডকালিন ও মনোরোগ চিকিৎসককে তারা দেখাতে পারেননি। রোগিদের সামাজিক সন্মানের দোহাই দিয়ে যেতে দেয়া হলো না ভেতরে। তবে রোগিদের রুমের বাইরে দেখা গেলো ২৩ জোড়া স্যান্ডেল।
আরকে রোডের টেক্সটাইল মোড়ের একটি কেন্দ্রের কোন অনুমতিপত্র বা বৈধতা না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালত সম্প্রতি ওই কেন্দ্রটি সিলগালা করে দেয়। নামিয়ে ফেলা হয় সাইন বোর্ড। কিন্তু গতকালও দিব্যি চলছিলো কেন্দ্রটি। এখানে মাদক নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনায় যে সব শর্ত পূরণের নিয়ম আছে, তার কোনটিই মানা হয়না। রিপন নামে একজন ফার্মাসিস্ট রোগিদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যিনি এই কেন্দ্রের একজন পরিচালকও। এই কেন্দ্রের আরেক পরিচালক ধনি কুন্ডু একজন প্রতারক ও বদরগজ সাবেক এমপির নাম  ব্যবহারকারী হিসেবে পরিচিত। সরকারি চাকরি দেয়ার নামে নিরিহ লোকজনদের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গঙ্গাচড়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এই কেন্দ্রের আরেক পরিচালককে একই ঘটনায় গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছিলো গঙ্গাচড়ার জনতা।
টেক্সটাইল মোড়ের পশ্চিমে একটি বাড়িতে চলছিলো রেনেসাঁ নামে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। যেটি পরিচালনা করতেন স্থানীয় কয়েকজন মাদকাসক্ত যুবক। ওই কেন্দ্রকে ঘিরে ছিলো ফেনসিডিলের ব্যবসা। বাড়ির মালিকের অভিযোগ, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের নামে তার দোতলা ভবনের নিচতলাটি ভাড়া দেন তিনি। কিন্তু মাসের পর মাস তারা ভাড়া না দিয়ে কেন্দ্রটি পরিচালনা করছিলেন কয়েকজন যুবক। বিদ্যুতের বিলও দিতেন না তারা। ভাড়া চাইতে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দারা হুমকি দিতো। সম্প্রতি এই কেন্দ্রটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এলাকার যুবকরা জানান, এই কেন্দ্রর ভেতরে কোনদিন কাউকে ঢুকতে দেয়া হতো না। তাই ভেতরে আসলে কী করা হতো তা কেউ জানতো না। তবে মাঝে-মধ্যেই অনেকে চিৎকার করে কাঁদতো। কেউ কেউ আবার পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করতো। তখন ধাওয়া দিয়ে ধরে জোড় করে আবার তাদের বন্দী করে রাখা হতো। 
এসব প্রতিষ্ঠা-পরিচালনায় আইন নেই। ২০০৫ সালের একটি প্রজ্ঞাপনের নীতিমালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অধিনে চলছে কেন্দ্রগুলো। কিন্তু নীতিমালাও মানছেনা কেউ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দিলারা রহমান এমন অভিযোগ করে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেও অভিযোগ আছে যে, তাঁর দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার মাধ্যমে অধিদপ্তরে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা দিয়েই চলছে কেন্দ্রগুলো। এমন কী তাঁর কার্যালয়ের পাশে একটি ও পাঁচশ গজের মধ্যে আরও একটি কেন্দ্র এখনও চলছে। পুলিশের সার্কেল অফিসের কাছে একটি নিরাময় কেন্দ্র স্বাস্থ্য বিভাগের একটি কাগজ দিয়ে দাপটের সঙ্গে জমজমাট ব্যবসা করে যাচ্ছে। পূর্বগেট এলাকায় চলছে আরেকটি অবৈধ নিরাময় কেন্দ্র।
নিরাময় কেন্দ্রের সামগ্রিক কোন তথ্য নেই অধিদপ্তরে। তবে চারটির অনুমোদন আছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। শর্তপূরণ না করায় তিনটির আবেদন নাকচ এবং বৈধতা না থাকায় আরও তিনটি কেন্দ্র বন্ধ করে সিলগালা করা হয়েছ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তা।
 চোখ রাখুন আগামী প্রতিবেদনে প্রভাবশালীদের মুখোশ উম্মোচন করা হবে

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 8286153212873528381

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item