স্কুল শিক্ষক ৬০ বিঘা জমির মালিক হতদরিদ্র

মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নে সরকারের বিধি বিধান উপেক্ষা করে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির  ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিক্রির তালিকা প্রনয়নে নানা দুর্নীতি-অনিয়ম, দল প্রীতি, স্বজন প্রীতি আর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপর দিকে অভিযোগ করায় ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন  তাদের নানা ভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভিতি প্রদর্শন করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানান অভিযোগকারীরা। 
হতদরিদ্রদের তালিকায় ৫ থেকে ৬০ বিঘা  জমির মালিক, ইটের ঘরবাড়ী, ব্যবসায়ী, হাইস্কুলের শিক্ষক,  ইউপি সদস্য, ডিলারের পুত্র, স্বামী-স্ত্রীর নাম ছাড়াও একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামও রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে ওই ধরনের কার্ড যারা নিয়েছে তাদেরকে কুমেদপুর ইউনিয়ন অফিসে কার্ড জমা (ফেরত) দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা খাদ্য বিভাগ থেকে মাইকে প্রচারনাও চালানো হচ্ছে ।
 ওই ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী সুরুতন তার নামে কার্ড হয়েছে ২টি যার ক্রমিক নম্বর-৩৪৯ ও ৪৯৯।  ক্রমিক নং- ৩২৪ ও  ৩৫৯ এর কার্ডধারী  একই  গ্রামের সুলতান ও তার স্ত্রী  শাহানারা ।  ৩৬১ ও ৩৯৫ ক্রমিক নম্বরের কার্ড বাদল ও তার স্ত্রী মুক্তার, ওই গ্রামের বিত্তশালী খন্দকার মঞ্জুর হোসেন ক্রমিক নং-৪৮১ তার স্ত্রী কাজলী বেগম- ক্রমিক নং ৪৯৬ এর নামে কার্ড হয়েছে । বড়রসুলপুর গ্রামের মফেজ উদ্দিন ক্রমিক  ২৬১ ও  তার স্ত্রী নিলুফা খাতুন  ক্রমিক নম্বর-২৬৫, পুত্র মমিনুর হোসেন ক্রমিক নম্বর- ২৫৮,  অপর পুত্র মনোয়ার হোসেন ক্রমিক নম্বর ২৬৩ পুত্রবধু  জমির মালিক । 
তালিকা থেকে প্রকৃত হত দরিদ্ররা বাদ পড়লেও আধাপাকা ঘরবাড়ী ও রাইস মিলের মালিক বড়রসুলপুর গ্রামের  মৃত-আব্দুস সামাদ মিয়ার পুত্র শফিকুল ইসলাম, ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক (এমপিও ভুক্ত ) মরারপাড়ার আব্বাছ আলীর পুত্র আসাদুল ইসলাম ক্রমিক-১১২৮,  কুমেদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদুর রহমানের স্ত্রী বিলকিছ বেগম ক্রমিক- ১৪৫৩ ,ডিলার গোলাপ মিয়ার পুত্র  সাদ্দাম মিয়া ক্রমিক- ৪৯৮, অপর ডিলার মোকসেদ আলীর পুত্র  মশফিকুর রহমান ক্রমিক নং ১১৮ ও সারের ব্যবসায়ী ৫০ বিঘা জমির মালিক ভাই মোকলেছার রহমান  ক্রমিক নং-২২৭ ছাড়াও বর্তমান ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন ক্রমিক নং ১১১২, ইউপি সচিবের শাশুড়ী সাজেদা বেগম-ক্রমিক-১০৬২,  কাঞ্চনপুর  গ্রামের বাসিন্দা ৫০/৬০  বিঘা জমির মালিক   ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মাজেদুল ইসলাম এমিক নং ১৪১৮, তাঁরা সেপ্টে¤র মাসের বরাদ্দকৃত চালও উত্তোলন করেছেন। সরকারের জন কল্যানমুলক এ কর্মসুচিকে বাধাগ্রস্থকরতে একটি স্বার্থন্বেসী গোষ্ঠি হতদরিদ্রদের নাম বাদ দিয়ে তালিকায় সুকৌশলে   স্বচ্ছল ব্যক্তি, স্বামী-স্ত্রীর- সন্তান, বড় ব্যবসায়ী ,বিত্তশালী , রাইস মিল মোটরসাইকেল আধাপাকা ঘরবাড়ীসহ ৫ থেকে  ৬০ বিঘা জমির মালিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ। 
কুমেদপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোশফাক হোসেন খান চৌধুরী ফুয়াদ অভিযোগকারীদের  ভয়ভিতি দেখানোর কথা অস্বীকার করে বলেন, এটা  অসত্য প্রপাগান্ডা। তবে অল্প সময়ের মধ্যে তালিকা করায় কিছু ক্রটি বা অনিয়ম হতে পারে। সেগুলো সংশোধনের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। এ জন্য  উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা খাদ্য বিভাগ থেকে মাইকে প্রচারনাও চালানো হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য বিভাগ জানায়, ১৫ টি ইউনিয়নে ৪৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ২১ হাজার ৬’শ ৭৯ টি হত দরিদ্র পরিবারের সদস্য স্বল্পমূল্যে ১০টাকা কেজিতে চাল পাচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসের চাল বিক্রি শুরু করা হয় গত ১লা অক্টোবর থেকে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শহীদুল¬াহ  বলেন,  তালিকায় কোনো স্বচ্ছল  ব্যক্তির নাম দেয়ার নিয়ম নেই। তবে কুমেদপুর ইউনিয়নে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিধি বর্হিভুত যারা কার্ড পেয়েছে তাদেরকে কার্ড জমা দেয়ার আমরা প্রচারনা চালাচ্ছি। বলা হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2609885181553961679

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item