অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া ছয় শিক্ষার্থীকে শামাহা-রের পাঠ্যপুস্তক প্রদান

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২১ নভেম্বর॥
বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে পাঠ্যপুস্তক পুড়ে যাওয়ায় অসহায়  ছয় শিক্ষার্থী যখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছিল সে সময় তাদের পাশ্বে এসে দাঁড়িয়েছে সোস্যাল মিডিয়ার নীলফামারীর শাখামাছাহাট (শামাহা) ফেসবুক গ্রুপ। এই গ্রুপের পক্ষ হতে ছয় শিক্ষার্থীদের হাতে আজ সোমবার (২১ নভেম্বর ) দুপুর আড়াইটায় ছয় শিক্ষার্থীর সকল প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক হাতে তুলে দেয়া হয়।   সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়াডের ধোপাডাঙ্গা বানিয়াপাড়ায় উপস্থিত হয়ে শাখামাছাহাট ফেসবুক গ্রুপের পক্ষে সোহেল পারভেজ ও রবিউল ইসলাম রবি উক্ত ছয় শিক্ষার্থীর হতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোড়গ্রাম ইউনিয়নের সচিব নজরুল ইসলাম ও তিন নম্বর ওয়াডের সদস্য মমতাজ আলী সহ এলাকাবাসী। এ বিষয়ে সহযোগী করেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার মধ্যে মনোধর রায়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে পলি রানী রায় ও এইসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে আশা রানী রায়,  পলিন্দ্র চন্দ্র রায়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে দিলীপ চন্দ্র রায় ও মেয়ে সন্তোসী রানী রায়, বিজয় কুমার রায়ের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী পরিমল রায় ও সু-কুমার রায়ের এইচ এসএসনি পরীক্ষার্থী মেয়ে দীপারানী রায়।

অগ্নিকান্ডে বসতঘর সহ সকল কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পর এই শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। তারা নীলফামারীর জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক শাখামাছাহাট গ্রুপের পক্ষে তাদের প্রয়োজনীয় সকল পাঠ্যপুস্তুক হাতে পেয়ে আনন্দে আতœহারা হয়ে পড়ে।
মনোধর রায়ের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের পড়–য়া মেয়ে আশা রানী রায় বলছিল  দিনমজুর বাবার কষ্টের উপার্জনে লিখাপড়া করছি। বহুকন্ঠে কলেজের বই কিনেছিলাম। আগুনে সব কিছু পুড়ে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম এবার আর এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া হবেনা। কিন্তু মানুষ মানুষের জন্য বলে একটি কথা আছে বলেই আজ সাহার্য্য সহযোগীতা পেলাম। অন্যন্য শিক্ষার্থীরাও পাঠ্যপুস্তক হাতে পেয়ে তাদের শিক্ষার জীবনকে আলোকিত করার জন্য নীলফামারীর জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক শাখামাছাহাট গ্রুপের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
উল্লেখ যে  গত ১১ নভেম্বর/২০১৬ সন্ধ্যায় নীলফামারী জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়াডের ধোপাডাঙ্গা বানিয়াপাড়া ঘনবসতিপূর্ন সনাতন ধর্মের (হিন্দু) পল্লীতে ৫৫ পরিবারের ১৫০ বসতঘর সহ সকল আসবাবপত্র সহ ওই সব পরিবারের  শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকও পুড়ে ছাই হয়ে  হয়েছিল। এখনও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো কোন রকমে পলিথিন দিয়ে ঘিরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর ও সদর উপজেলা প্রশাসন ও পক্ষে প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে নগদ দুই হাজার করে টাকা, ৩০ কেজি করে চাল, তিনটি করে কম্বল, একটি করে শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরন করেছিল।
শাখামাছা গ্রুপের সদস্য সোহেল পারভেজ ও রবিউল ইসলাম রবি জানান এই গ্রুপের সদস্যদের সহযোগীতায় ওই ছয় শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক ক্রয় করে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ যে শাখামাছাহাটের পক্ষে এ ধরনে সহযোগীতা বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনকে করা হয়ে থাকে। এরমধ্যে সম্প্রতি ডিমলায় তিস্তা নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় তিনশতাধিক পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল।

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 4492032893369003753

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item