কমার্স ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি মামলা : এমপি শওকত চৌধুরীর জামিন বাতিলে উচ্চ আদালতের রুল

বিশেষ প্রতিনিধি ২৪ নভেম্বর॥
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে প্রায় শত কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে হওয়া দুই মামলায়  শওকত চৌধুরী জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশি¬ষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
শওকত চৌধুরী নীলফামারী ৪( সৈয়দপুর আংশিক কিশোরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) জাতীয় পাটির বিরোধীদলীয় হুইপ এবং নীলফামারী জেলা জাতীয় পাটির সাধারন সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি অর্থ মন্ত্রনায়য়ের জাতীয় সংসদীয় কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে।
এমপি শওকত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুরে মোট ৩৭টি এলসি খুলে মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল, মেসার্স এগ্রো কেমিকেল লিমিটেড ও উদয়ন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ব্যাংক হতে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করেন।
হাইকোট আগামী ১০ দিনের মধ্যে শওকত চৌধুরীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য্য করা হয়েছে বলে জানায় ব্যাংকটির আইনজীবী ব্যারিষ্টার সারোয়ার হোসেন। তিনি জানান, একই মামলায় ব্যাংকটির এমডি ড. মো. আসাদুজ্জামান ও ঢাকা বংশাল শাখা ব্যবস্থাপক হাবিবুল গনির জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিকালে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করে।
আদালতে আসাদুজ্জামানের পক্ষে ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান ও হাবিবুল গনির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার শুনানি করেন। এছাড়া দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন শুনানিতে অংশ নেন।
 ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের আরো বলেন, জামিন শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান জালিয়াতির মূল হোতা এমপি শওকত নি¤œ আদালত থেকে জামিনে আছেন। তখন আদালত এমপি শওকতের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের মোট আমানতকৃত অর্থের পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা। সেখানে প্রায় কোটি টাকা একজনই ঋণ জালিয়াতি করেছেন। যা মোট আমানতের অর্ধেকেরও বেশি।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে চলতি বছর ৮ মে ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ এবং ১০ মে ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে এমপি শওকতসহ ৯ জনের নামে দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।
২০১২ এর ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৭টি এলসি খুলে মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল, মেসার্স এগ্রো কেমিকেল লিমিটেড ও উদয়ন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজষে তিনি এ ঋণ জালিয়াতি করেন। মামলাটি বর্তমানে দুদক তদন্ত করছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8716079664110732531

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item