কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের খাদ্য সরবরাহে চরম অনিয়মের অভিযোগ

শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারী

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্য সরবরাহে চরম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাদ্য তালিকায় দেশি মুরগীর গোস্ত, খাসির গোস্ত, ও রুই মাছ দেয়ার নিয়ম থাকলেও রোগিরা তা কখোনো চোখেও দেখেনা। এছাড়াও নি¤œমানের চালের ভাত খেতে না পেরে রোগীর স্বজনরা বাড়ি থেকে ভাত নিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের খাদ্য ও পথ্য স্কেলের  তালিকা থেকে জানা গেছে, সকালে নাস্তা হিসাবে একটি ডিম, রুটি ১০০ গ্রাম, একটি সবরি কলা, একটি মিষ্টি, দুপুরের খাবারে দেশি মুরগির গোস্ত ১০০ গ্রাম, অথবা রুই মাছ ২৫০ গ্রাম, এবং রাতের খাবারে ১৩৬ গ্রাম খাসির গো¯োÍর  সাথে বিভিন্ন প্রকার সবজি দেয়ার নিয়ম থাকলেও দেয়া হয় ব্রয়লার মুরগির গোস্ত এক টকরো(এক পিচ) রুই মাছের পরিবর্তে ব্রিগেড ও সিলভার কাপ মাছ এক পিচ। দেশি মুরগীর গোস্ত ও খাসীর গোস্ত রোগীরা কখোনো চোখে দেখেনা। এদিকে বাবুর্চির এসব নি¤œমানের রান্না রোগিরা খেতে না পেরে বাড়ি থেকে প্রতিদিনের খাবার নিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে অসাধু ঠিকাদার সরকারের বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ্য করছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন অর্থ বছর শুরুর সাথে সাথে রোগীদের প্রতিদিনের একটি খাদ্য তালিকা ওয়ার্ডে ঝুলানোর কথা থাকলেও তালিকা ঝুলানো হয়নি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগী মনজু বেগম(৬০) বেড নম্বর ৯ বলেন, পিটে ব্যাথা নিয়ে ৪ দিন আগে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালের দেয়া খাবারের মধ্যে রুটি আর কলা ছাড়া কিছুই খাওয়া যায়না। ডিম থাকলেও সেটি পচাঁ গন্ধযুক্ত হওয়ায় খাওয়া যায়না।
জসির উদ্দিন (৬০) বেড নম্বর ৪ বলেন, আমি ৫ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি রাতে কিংবা দুপুরের খাবারে দেশি মুরগির গোস্ত ও খাসির গোস্ত পাইনি। বিনদ চন্দ্র দাস (৭০) বেড নম্বর ১২ ,জুলেখা (৫০) বেড নম্বর ১১ ,অনিতা (৩৫) বেড নম্বর ৬ সহ আরো অনেক ভর্তিকৃত রোগী একই কথা বলেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করে তাকে না পেয়ে সাব ঠিকাদার একই হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী আবু হানিফের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রোগিদের খাদ্য সরবরাহে ছয় নয়  হতে পারে । তা না হলে ঠিকাদারের লাভ হবেনা। তাছাড়া সরকার তো ঠিকাদারকে বেতন দেয়না।
কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গওছুল আজিম চৈীধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় হতে নতুন তালিকা এখোনো না আসায় পুরাতন তালিকা অনুযায়ী খাবার দেয়া হচ্ছে। নতুন তালিকা আসলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন আব্দুর রশিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রোগিদের খাদ্য সরবরাহে কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবেনা। আমি এখনই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিচ্ছি।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 6998950478666826952

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item