ইবিতে ‘জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত খাদ্যের উপকারি ও অপকারি’ দিকসমূহ শীর্ষক সেমিনার

হুমায়ুন কবীর জীবন,ইবি প্রতিনিধি,

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত খাদ্যের উপকারিতা ও অপকারিতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । সেমিনারটির আয়োজন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের হলরুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. এসকে মো. আব্দুর রউফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড মলিকিউলার বায়োলোজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে ভারতের ড. বাবাসাহেব আমবেডকার মারার্থওয়াডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. অরভিন্ড মাধবরাও দেশমুখ বক্তব্য দেন।

সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে অধ্যাপক ড. অরভিন্ড মাধবরাও দেশমুখ বলেন, খাদ্যের পুষ্টিমান আমরা জেনেটিক্যালি পরিবর্তন করতে পারি, এর মাধ্যমে আমরা উৎপন্ন খাদ্যের গুণগতমান বাড়াতে পারি। এছাড়া বিটিবেগুন চাষ করলে কোন কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে না। বিটিবেগুন এ ক্রায়োপ্রোটিন রয়েছে। এটা জেনেটিক্যালি বিভিন্ন প্লান্টের মধ্যে স্থাপন করলে ঐ সমস্ত প্লান্টের মধ্যে যেমন পাতাতে ক্রায়োপ্রোটিন তৈরি করে। পোকামাকড় এই সমস্ত প্লান্টের মধ্যে বসলে ক্রায়োপোটিনের ফলে এমনিতেই মারা যাবে। এর জন্য কোন কীটনাশক ব্যবহান করতে হবে না। জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত খাদ্যের অপকারী দিকসমূহের মধ্যে অন্যতম, ফলমূল চাষাবাদে নরমাল ডোজের কীটনাশক ব্যবহার করে পোকামাকড় নিধন সম্ভব, সেখানে উচ্চ মাত্রার কীটনাশক ব্যবহার করছে যা পরবর্তীতে নানা রকম সমস্যা তৈরি করে।

তিনি আরও বলেন, জেনেটিক্যারি পরিবর্তিত খাদ্যর উন্নয়ন ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে করতে হবে। তাহলে অন্যান্য যে যে সমস্যা আছে সেগুলো দূরে রেখে মানবজাতির খাদ্যের পুষ্টিচাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, জেনেটিক্যালি পরিবর্তনের ফলে আমরা যদি ফসলকে এমনভাবে মোডিফাইড করি যার পোকামাকড় বা কীটপতঙ্গ কোন ক্ষতি করতে পারে না। আমরা যদি ফরটিফাইড না করে মোডিফাইড করি যেমন খাদ্যের জেনেটিক্যালি পরিবর্তন করে আয়রনযুক্ত ধান উৎপাদন করি, তাহলে বাংলাদেশে অ্যানিমিয়া রোগ নিমূল করা সম্ভব।

এসময় ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের  শিক্ষক অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক ড. আয়নুল হক আকন্দ, সহযোগী অধ্যাপক ড. এ টি এম মিজানুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম তালুকদার, সহকারী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক শেখ শাহিনুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মোমিনুল ইসলাম, শাম্মী আক্তারসহ বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 1216543329704870349

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item