দিনাজপুর জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসে জনবল সংকট ১০ মাসে শত কোটি টাকার রাজস্ব আদায়॥

মোঃ আব্দুস সাত্তার দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ 

দিনাজপুর জেলা রেজিষ্ট্রার অফিসে ১০ মাসে জমি  বিক্রি রেজিস্ট্রি বাবদ শত কোটি টাকার  রাজস্ব আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। দিনাজপুর জেলা রেজিষ্ট্রার অফিসের আওতায় ১৩ উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন কর্মরত রয়েছে। সাব-রেজিস্ট্রার সংকটের কারণে জমি কেনা-বেচায় সাময়িক বিঘœ ঘটছে। দিনাজপুর জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ লুৎফর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার ১৩ উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি বিক্রি রেজিস্ট্রি এবং অন্যান্য রেজিস্ট্রি সম্পাদন বাবদ প্রায় শত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। আদায়কৃত অর্থ  বিধি অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, জেলার ১৩ উপজেলার জমি বিক্রি রেজিষ্ট্রির জন্য ১৩ জন সাব-রেজিস্ট্রারের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছে মাত্র ৭ জন। ৬ জন সাব-রেজিস্ট্রারকে ২টি করে উপজেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে জনগণের  চাহিদা প্রয়োজনের তুলনায় কম রয়েছে। স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে জেলার এই জমি বিক্রি সম্পাদন কার্যক্রম ও জমির দলিল, বালাম এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য মূল্যবান দলিলাদি সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। জনবলের সংকট দুর করতে  গত ৬ মাস থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রার অধিদপ্তর ও আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু জনবল সংকট পূরণ না হওয়ায় কার্যক্রম ধীর গতিতে চলছে। যার ফলশ্র“তিতে জনসাধারণের দূর্ভোগ বেড়েই চলেছে। দিনাজপুর জেলা রেজিস্ট্রারের রেকর্ড রুমের দায়িত্বে নিয়োজিত সদর সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ জহরুল ইসলাম জানান, গত ১৮৮৬ সাল থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর দিনাজপুরের ৩টি জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও  ও দিনাজপুর সহ ভারতের বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ জেলার  রেজিস্ট্রিকৃত সম্পত্তির দলিল এই রেকর্ডরুমে সংরক্ষিত রয়েছে। এখনও ভারতের প্রায় ১১টি থানার জনসাধারণ পূর্বের সংরক্ষিত দলিল  পত্রের জাবেদা কপি উঠাতে দিনাজপুরে আসেন। বর্তমানে গত ১৯৪০ সাল থেকে অদ্যাবধি জেলা রেজিস্ট্রারের রেকর্ড রুমে ১ লক্ষ ৬০ হাজার দলিলের বালাম বহি রয়েছে। এই বালাম বহি গুলো সংরক্ষণের জন্য ধুলাবালি পরিস্কার করার প্রয়োজনে জনবল দরকার। কিন্তু রেকর্ড রুমে ১ জন রেকর্ড কীপার ও ২ জন পিয়ন ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী জনবল না থাকায় বালাম বহিগুলো এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। ফলে জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী দলিলের জাবেদা নকল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এই স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার রেকর্ডপত্রের কাজ করা কষ্টকর। তারপরেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে রেকর্ড রুমের জনবলের চাহিদা পূরণ করা হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। রেকর্ডপত্র ভবিষ্যতে জনসাধারণের সুরক্ষিত রাখার জন্য জরুরী ভিত্তিতে ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।  রেকর্ড রুমে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য বালাম বহির পাশাপাশি অফিসে বিকল্প বালাম বহি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। রেজিস্ট্রি অফিসে আগত ভুক্তভোগীরা বলেন, সদর সাব রেজিস্ট্রার যোগদানের পর অফিসের দৃশ্যপট বদলিয়ে দিয়েছে। অফিসের রেকর্ডরুমে ছেঁড়া বহিগুলো আগে মেঝেতে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছিল এখন বহিগুলি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। অফিসের প্রতিটি স্টাফ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। আগের তুলনায় ভোগান্তি কমে গেছে। কিন্তু রেকর্ডরুমের সংরক্ষিত ছেঁড়া বহিগুলি জরুরী ভিত্তিতে বাঁধাইয়ের ব্যবস্থা করলে জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব হবে।

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 7118418565688857823

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item