ভূমিদস্যু কর্তৃক আমিন উদ্দীনের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা অব্যাহত নাতি মাহাবুবসহ ওয়ারিশরা সু-বিচারের আশায় সকলের দ্বারস্থ

মোঃ আব্দুস সাত্তার দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার উত্তর কুমারভোগ মৌজায় মৃত আমিন উদ্দীনের নামীয় রেকর্ডিয় সম্পত্তি মাহাবুব আলী (ননী) সহ ওয়ারিশরা ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধারের আশায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে বেড়াচ্ছে। মাহাবুব আলম (ননী) লিখিত অভিযোগে জানায়, উক্ত লৌহজং থানার কুমারভোগ ইউনিয়নের উত্তর কুমারভোগ মৌজায় তার নানা আমিন উদ্দীন তার স্ত্রীসহ ২ পুত্র ও ৩ কন্যাকে নিয়ে নামীয় রেকর্ডিয় সম্পত্তিতে বসবাস করে আসছিল। আমিন উদ্দীন মারা যাওয়ার সময় স্ত্রীসহ ২ পুত্র খুরশেদ আলী ও শামসুল হক এবং ৩ কন্যা আরজুদা বেগম, জহুরা খাতুন ও রেজিয়া খাতুনকে রেখে যায়। আমিন উদ্দীন সহ তার স্ত্রী, পুত্র ও কন্যারা মারা গেলে নাতি-নাতনীরা সেখানে বসবাস করতে থাকে। এর মধ্যে আমিন
উদ্দীনের কন্যা রেজিয়া খাতুনকে তার স্বামী দিনাজপুরে নিয়ে এসে ব্যবসা বাণিজ্য করে বসবাস করতে থাকে।  পরবর্তীতে তার ৩ পুত্র ও ৫ কন্যাকে দিনাজপুরে নিয়ে আসে। অভিযোগে তিনি বলেন, নানা আমিন উদ্দীন মৃত্যুর পূর্বেই উক্ত বাড়ি ঘর জায়গা জমি দেখাশোনার জন্য কেয়ারটেকার হিসেবে রেখেছিলেন বাবলার পিতা ও দাদাকে। ঐ হিসেবে বাবলা সেখানে বসবাস করছে। গত ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রথম উদ্বোধনকালে আমি যখন পরিবার নিয়ে দিনাজপুরে অবস্থান করছিলাম, ঠিক ঐ সময় লোক মারফতে খবর পাারি ভূমিদস্যুরা আমার সম্পত্তি বেচাকেনার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই সংবাদ পেয়ে ছোট ভাই মহসিনকে নিয়ে লৌহজং থানার ভূমি অফিসে আমিন উদ্দীনের নামীয় রেকর্ডীয় সম্পত্তির কাগজপত্র উদ্ধার করি। এই কাগজপত্র দৃষ্টে দেখা যায় যে, প্রায় ৪.০০ এক সম্পত্তি রয়েছে। এইসব কাগজপত্রগুলো নিয়ে এলাকার লোকজনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসলেও কোনো সুফল হয়নি। ফলে আমিসহ সম্পত্তির ২৩ জন ওয়ারিশ বাদী হয়ে জেলা মুন্সিগঞ্জ মোকাম ২য় শ্রেণীর যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ৩৭ জনকে বিবাদী করে দেঃমোঃ ৪৪/১২ নং মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে আবারও গত ১২ মার্চ ১৪ তারিখে উক্ত সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির মামলা আনয়ন করা হয়। এই মামলা দায়ের করাকে কেন্দ্র করে ভূমিদস্যুরা কেয়ারটেকার বাবলা ও তার পরিবারকে বিভিন্ন অজুহাতে মারডাং ও হুমকি প্রদর্শন করে বলে, তোমরা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাও। গত ১৭ই অক্টোবর ১৫ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান সু-কৌশলে ফারুম মাঝি’র দ্বারা বাবলাকে ধরে এনে মারডাং করে বলে, তুমি বাড়িঘর ভেঙ্গে চলে যাও বলে নির্দেশ দেয়। গত ২৮ অক্টোবর’১৫ তারিখে আমি এসব বিষয়ে মিমাংসার জন্য কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে গত ৩ নভেম্বর’১৬ তারিখে কুমারভোগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লুৎফর তালুকদার আবারো ফারুক মাঝি দ্বারা বাবলাকে চন্দ্রাবাড়ী বাজারে ডেকে নেয়। ঐ সময় বাজারে বহু লোকজনের সম্মুখে ফেরদৌস তালুকদার, বিপ্লব, স্বপন ও ফারুক মাষ্টারগং একজোট হয়ে বাবলাকে বেদম প্রহার করে বলে, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে যাও, তা না হলে তোমার হাত-পা ভেঙ্গে বাড়িঘর থেকে স্বপরিবারকে তাড়িয়ে দেব বলে হুমকি প্রদর্শন করে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে তাদের প্রহারে কেয়ারটেকার বাবলা গুরুতর আহত হয়ে ডাক্তারের চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমাদের প্রতিনিধির নিকট একান্ত সাক্ষাৎকারে  মাহাবুব আলম (ননী) জানান সে একজন অসহায়। আমাকে মুঠোফোনে সহ বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে ভূমিদস্যুরা বলছে আমাকে এলাকায় দেখা মাত্রই হাত-পা ভেঙ্গে নদীতে ভাসিয়ে দেবে বলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করছে। তাদের সন্ত্রাসীমূলক কার্যকলাপের ভয়ে আমিসহ সম্পত্তির ওয়ারিশরা জীবনের নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। তিনি আরও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর আমি তাঁর মুক্তির দাবিতে ঢাকায় মিছিলে গেলে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলাম। পরবর্তীতে ছাড়া পেয়ে দিনাজপুর এসে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ডালিমগাঁও গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শরীক হই। তৎপর ডালিমগাঁও রাধিকাপুর বর্ডারে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মর্টার শেলের  ¯িপ্রন্টারের আঘাতে আমার সারা শরীর আহত হয়ে রায়গঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে এখন অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছি। আমি আমার সম্পত্তি পেয়ে যাতে সুষ্ঠুভাবে বসবাস করতে পারি সে নিমিত্তে ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষ ও গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 7262088243315508907

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item