খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী॥ ডিমলায় দুইজনের ডিলারশীপ বাতিল

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২ নভেম্বর॥
নীলফামারীর ডিমলায় সরকারী খাদ্য গুদাম হতে সরবরাহকৃত ভাল মানের চাল উত্তোলনের পর তা পরিবর্তন করে নি¤œমানের চাল বিক্রির অভিযোগ সত্যতা পেয়ে দুই ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। বাতিলকৃত  ডিলারগন হলে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছামিনুর রহমান ও আতাউর রহমান। আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোফাচ্ছেল হোসেন।
সুত্র মতে গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ২জন ডিলার খাদ্য গুদামের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে নি¤œ মানের চাল মজুদ করে বিক্রির সময় অভিযান চালিযে ভ্র্যামমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিল্টন চন্দ্র রায়  চাল বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ঘটনার দিন রাতে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদে ভ্র্যাম্যমাল আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত ডিলার ছামিনুর রহমান ও আতাউর রহমানকে ৫০ হাজার করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। আদালতে জব্দকৃত নি¤œমানের চাল পরিবর্তন করে খাদ্য গুদানের উন্নত মানের চাল বিক্রির নির্দেশ প্রদান করেন। রাতের অন্ধকারে ডিলারগন চাল পরিবর্তন করে শনিবার সকাল থেকে তা কার্ডধারীদেও নিকট ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম ঘটনাটির তদন্ত করতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তাকে নিদেশ প্রদান করে। ঘটনাটি তদন্ত করে নি¤œমানের চাল বিক্রির সত্যতা পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর ডিলার ছামিনুর রহমান ও আতাউর রহমানের ডিলাপশিপ বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোফাচ্ছেল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে জানায়, আগামী সপ্তাহে নতুন ডিলার নিয়োগ করা হবে।
সুত্র মতে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের (ইউনিয়ন ফেয়ার প্রাইজ ) শুক্রবার সকাল হতে বিক্রি করা হচ্ছিল দুই ডিলারের ৫৪৪ জন করে মোট ১০৮৮ জনের মাঝে। ওই ইউনিয়নের চাঁপানীহাট বাজারে ডিলার ছামিনুর রহমান ও চাপানীহাট চত্বরে- আতাউর রহমান পচা দুর্গন্ধ এই চাল কাডধারীদের মাঝে বিক্রি করছিল। এর মধ্যে ডিলার ছামিনুর রহমানের ৫৪৪ জন কাডধারীর ৩৩৬ বস্তার মধ্যে ৭৮বস্তা ও আতাউর রহমান ৫৪৪ জন কাডধারীর ৩৩৬ বস্তার মধ্যে ৯৫বস্তা পচা দুগর্ন্ধ চাল জোড়পূর্বক কাডধারীদের কাছে বিক্রি করে। এ ঘটনায় কাডধারীরা প্রতিবাদী হয়ে উঠলে চাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বিষয়টি ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করে চাল বিক্রি বন্ধ রাখেন। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিল্টন চন্দ্র রায় ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোফাচ্ছেল হোসেন। তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নি¤œমানের. দুগর্ন্ধ চাল বিক্রি বন্ধ করে  ডিলার ছামিনুর রহমানের ৫০ কেজি ওজনের ২৪৮ বস্তা ও আতাউর রহমানের ৫০ কেজি ওজনের ২৩১ বস্তা চাল তাদের নিজ নিজ  গোডাউনে সিলগালা করে রাখা হয়। রাতে ভ্র্যাম্যমান আলাদতে জরিমানার পর সিলগালা খুলে দিয়ে পরের দিন শনিবার উন্নত মানের চাল বিক্রি করা হয়েছিল। ঘটনার চারদিন পর খাদ্যবান্ধন কর্মসুচির উপজেলা কমিটি উক্ত দুই ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করলো।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2985905901095842578

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item