পীরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের এজিএম’র কান্ড প্রেম-বিয়ে-সন্তান, সবই ভুলে গেছে!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ

রংপুর পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগঞ্জ সাব অফিসের এজিএম (কম) প্রেম করে বিয়ে করার পর তার স্ত্রীর গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া সন্তানকে অস্বীকার করছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি শিশু সন্তান নিয়ে মৌসুমী তার স্বামীর কাছে পীরগঞ্জ সাব অফিসে এলে তাকে লাঞ্চিত করেছে। এ নিয়ে পীরগঞ্জ পল¬ী বিদ্যুৎ অফিসে অসন্তোষ বিরাজ করছে। উপজেলার ভুজুবাড়ী গ্রামে মৌসুমীর বাবার বাড়ী।
জানা গেছে, রংপুর পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর শঠিবাড়ী কার্যালয়ের এজিএম (কম) রকিবুল ইসলাম বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে এসে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ২০০৭ সালের জুলাইয়ে পীরগঞ্জের ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ভুজুবাড়ীর ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী জান্নাতুন বেগম মৌসুমীর প্রেমে পড়েন। সে ইঞ্জিয়ান সরকারের কন্যা প্রেমের টানে এজিএম প্রেমিকার বাড়ীতে যাতায়াত-থাকা খাওয়া ধুমধামে চালিয়ে যান। একপর্যায়ে পীরগঞ্জে বদলী হয়ে এসে তিনি ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মৌসুমীকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের আগে ওইদিনই তারা রংপুর নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটও করেন। কাবিননামায় এজিএম (কম) রকিবুল ইসলাম নিজেকে রফিকুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে ৯ লাখ ১ টাকা দেনমোহরের মধ্যে নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মুল্যের স্বর্নালংকার দিয়েছেন বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর মৌসুমী-রফিকুলের সংসার ভালই চলছিল। বাঁধ সাধে মৌসুমীর গর্ভের সন্তান। গত বছর মৌসুমীর গর্ভে সন্তান নষ্ট করা নিয়ে তাদের মধ্যে দুরুত্ব বাড়ে। একপর্যায়ে গর্ভের সন্তানের বয়স ৪ মাস হলে যোগাযোগ, টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয় এজিএম। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মৌসুমী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, নাম রাখা হয় রাইশা ইসলাম। ২৮ দিনের শিশু সন্তানকে নিয়ে গত ১২ অক্টোবর মৌসুমী পীরগঞ্জ পল¬ী বিদ্যুৎ অফিসে এলে এজিএম তাকে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করে বের করে দেয়। এ সময় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাৎক্ষনিকভাবে পরিস্থিতি শান্ত করে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এজিএম (কম) তার ২য় স্ত্রীকে মারধর করে অফিস থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা তো এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারি না। মৌসুমী জানায়, বিয়ের সময় দেনমোহরের টাকা থেকে ১ লাখ টাকা মুল্যের স্বর্নালংকার (গলার চিক হার, চেইন, দুল ও আংটি) দিয়েছে। বিয়ের ১ বছর পর আমাকে ‘ওর’ (রফিকুল ওরফে রকিবুল) বাড়ী কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাইক্রোবাসযোগে আমাকে নিয়ে গিয়ে ওইদিনই ফিরে এনেছে। এখন আমাকে এবং সন্তানকে সে মেনে নিচ্ছে না। আমি আমার স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতি চাই।
এ ব্যাপারে ওই বিয়েতে বরের পক্ষে স্বাক্ষী ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েটি দিয়েছি। বিয়ের অপর স্বাক্ষী ইউপি সদস্য আরিফ মিয়া বলেন, আমরা এলাকাবাসী ওই এজিএমকে প্রেমের সময় বাঁধা দিলে তিনি মৌসুমীকে বিয়ে করার কথা বলেন। তার কথামতো আমরা মেয়ের বাড়ীতে বিয়ের আয়োজন করেছি। ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার নুরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আমি ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী ৯ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে দিয়েছি। এজিএম (কম) রকিবুল ওরফে রফিকুল ইসলাম এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি কোন কথা বলেননি। রংপুর পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর শঠিবাড়ীস্থ কার্যালয়ের জিএম নুরুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাইন। শুনে জানাবো।
উলে¬খ্য, এজিএম (কম) রকিবুল ওরফে রফিকুল কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সদরের আব্দুল হাকিম মিয়া ও রেজিয়া বেগমের পুত্র।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4252920950624768913

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item