পীরগঞ্জ থানায় জব্দকৃত গরুগুলো কার ? বাদীর না আসামীর !

মামুনুর রশিদ মেরাজুল, পীরগঞ্জ (রংপুর)ঃ

পীরগঞ্জে বড় ভাই তার আপন ৩ ছোট ভাই ও ২ ভাবীর বিরুদ্ধে গরু ও মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে থানায় মামলা করায় পুলিশ আসামী এক ভাইয়ের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ৩ টি গরু থানায় এনেছে। গরুগুলোর ব্যাপারে আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পীরগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে। পীরগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটি নিয়ে বাদীকে অনৈতিক সুবিধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলা ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার এনায়েতপুর দাখিল মাদরাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ভগ্নিপতি-শ্যালক। মাদরাসাটিতে তাদের দু’জনের অপকর্ম এবং জামায়াত-বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় এলাকাবাসী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সভাপতির ৩ ভাই ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। ওই মাদরাসায় জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং বিষ্ফোরক দ্রব্য রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষ হয়। এতে মাদরাসার নৈশ্য প্রহরী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ছোট ভাই আবুল কালাম মিয়া পঙ্গু হয়ে যায়। ওই ঘটনায় সুপার আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্টতায় নাশকতার মামলা হলে সুপার কারাবন্দী হন। সুপারও পাল্টা মামলা করেন। জনতার রোষের কারণে কারাবন্দীর পর সুপার কয়েকমাস ধরে মাদরাসায় যাচ্ছে না। সভাপতিও চলতি বছরের ২৬ জুন তার পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে তিনিও বাড়ী যাচ্ছেন না বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর সভাপতি ফজলুল হক তার আপন ৩ ভাই বিপ্লব মিয়া, গাজী রহমান ও জয়নাল আবেদীন এবং তাদের দু’স্ত্রী ববিতা বেগম ও বেবী খাতুনকে আসামী করে থানায় গরু ও মোটর সাইকেল চুরিসহ প্রায় পৌনে ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ দেয়। অভিযোগটি প্রায় ১ মাস পড়ে থাকার পর আকষ্মিকভাবে গত ২ অক্টোবর মামলাটি রেকর্ড হয়। ফলে উল্লেখিত আসামীরা বাড়ী ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেলে পরদিনই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বেলাল হোসেন আসামী গাজী রহমানের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রায় ২ লাখ টাকা মুল্যের ৩ টি গরু থানায় নিয়ে এসে জব্দ দেখায়। এ নিয়ে আদালতে মামলার শুনানীর পর পীরগঞ্জ থানার ওসিকে গরুগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত নির্দেশ দেন। গত বৃহষ্পতিবার জব্দকৃত গরুগুলোর ব্যাপারে থানার ওসি রেজাউল করিম এনায়েতপুর গ্রামে তদন্তে গেলে জব্দকৃত গরুগুলো গাজী রহমানের বলে হাজারো মানুষ স্বাক্ষী দেয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওসি সে কথা শুনছে না বলে আসামী গাজী রহমান জানান। গাজী রহমান আরও জানান, আমি গরুগুলো যে হাটে ক্রয় করেছি, তার কাগজপত্র থানায় দিয়েছি। ওই হাটের ইজারাদার থানায় এসে স্বাক্ষী দিয়েছেন। তারপরও ওসি পক্ষপাতিত্ব করছে। অপরদিকে ওসির সাথে মামলার বাদী ফজলুল হক যোগাযোগ করে প্রতিদিনই থানার ভিতরে এসে গরুগুলোকে খাবার দিচ্ছে। পীরগঞ্জ থানার গোলঘরের পাশেই ৭ দিন ধরে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে গরুগুলো রাখা হয়েছে। গরুগুলো কার বাদীর না আসামীর এ প্রশ্নের ব্যাপারে ওসি রেজাউল করিম বলেন, তদন্ত চলছে। এখনই বলা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ জুলাই ফজলুল হক তার আপন ভাইদের বিরুদ্ধে একটি ছিনতাই মামলা করেছিল। সে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হলে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 3182486304034070832

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item