মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পীরগঞ্জের একজনও সুযোগ না পাওয়ায় লেখাপড়ার মান নিয়ে ক্ষোভ

মামুনুর রশিদ মেরাজুল -
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পীরগঞ্জের সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরর একজন শিক্ষার্থীও সুযোগ পেল না। গত সোমবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর উপজেলার লেখাপড়ার মান নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
জানা গেছে, পীরগঞ্জে একটি সরকারী কলেজ ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেসরকারী মাদরাসা ৫৮ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭০ টি, কলেজ ১৩টি এবং বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজ ৪টি রয়েছে। অতীতে পীরগঞ্জ উপজেলাটি বিদ্যা-শিক্ষায় বেশ উন্নত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার মান নিম্নমুখী হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডি নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব ও মামলা মোকদ্দমা, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উদাসীনতার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়ছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থী এখন প্রাইভেট ও কোচিংমুখী হওয়ায় ক্লাস না হওয়ায় লেখাপড়ার মান নিম্নমুখী হচ্ছে। আর এর ফলাফল আছড়ে পড়ছে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার উপরে। ফলে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ওইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার মানদন্ড নয়, অর্থের মানদন্ডকে প্রাধান্য দেয়ায় ওই অবস্থা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পীরগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম পিন্টু। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কলেজ শিক্ষক জানান, শিক্ষকদের নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে শিক্ষার মান ধ্বংস হচ্ছে। নকল নাই বটে। কিন্তু শিক্ষার্থীদেরকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। কয়েক বছর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মামলা, কমিটি এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়োগ বানিজ্য এবং শিক্ষকরা রাজনৈতিক দলের লেজুড় বৃত্তি করায় এখন তার প্রভাব আছড়ে পড়ছে।
গত শুক্রবার সরকারী-বেসরকারী মেডিকেল কলেজসমুহের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গত সোমবার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফলাফলে পীরগঞ্জের একজন শিক্ষার্থীও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলা শিক্ষা রক্ষা কমিটির সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট কাজী লুমুম্বা লুমু। তিনি বলেন, জনগনের ট্যাক্সের টাকায় সরকার কোটি কোটি টাকা শিক্ষক-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পিছনে ব্যয় করছে। কিন্তু পীরগঞ্জে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পেল না। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। এ উপজেলায় শিক্ষা ধ্বংসের জন্য রাজনৈতিক কালো হাত অনেকটা দায়ী। তাদের অনৈতিক সুবিধার কারণে আজ পীরগঞ্জ অতীতের এতিহ্য হারাতে বসেছে।
উল্লেখ্য, গত সংসদ সদস্যের সময় উপজেলার অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মামলা মোকদ্দমা হওয়ায় সেগুলো বাঁচাতে উপজেলা শিক্ষা রক্ষা কমিটি গঠিত হয়। তারপরও বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান মামলায় ঝুলছে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 3049309530984363859

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item