অনিশ্চয়তা দুর হলো আইরিনের


 ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৮ অক্টোবর॥ মেডিক্যাল কলেজে  ভর্তির সুযোগ পাওয়া মেধাবী হত-দরিদ্র ছাত্রী আইরিন আক্তারের অনিশ্চয়তা দুর হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে সহায়তা দেয়া হয়েছে তাকে। অর্থাভাবে ভর্তি হতে না পারার যে অনিশ্চয়তা আইরিনের ছিল তা আপাতত কেটে গেছে তার। আইরিন মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার কোঠায়  বগুড়ায়  অবস্থিত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পেয়েছে। ভর্তি হবার অর্থাভাব কেটে যাওয়ায় আইরিন এখন নির্ধারীত সময়ে(৩১ অক্টোবরের মধ্যে ভর্তি হতে পারবে।
ভর্তি হবার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করলেও অধ্যয়নকালীন সময়ে বিভিন্ন সুযোগ তৈরির আশ্বাসও দিয়েছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকীর  হোসেন। আজ মঙ্গলবার  সকাল সাড়ে ১১টায় আইরিনের হাতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডিসি অফিসে জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ, জে, এম, এরশাদ আহসান হাবিব ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার জাকির হাসেন খান নগদ টাকা তুলে দেন আইরিনের হাতে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে সাত হাজার, জেলা পরিষদ দশ হাজার, জেলা পুলিশ পনেরো হাজার এবং নেত্রকোনা জেলার আইনজীবী মাসুদ রানার দেয়া কুড়ি হাজার টাকা প্রদান করা হয় আইরিনকে। এরআগে গত রবিবার বিকেলে তাকে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ১৫হাজার টাকা প্রদান করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু মুসা সালেহ জঙ্গী।
জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানান, সরকারী একজন কর্মকর্তা তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ২০হাজার টাকা দেয়ার জন্য। বুধবার (১৯ অক্টোবর) ওই টাকা প্রদান করা হবে তাকে। নেত্রকোনা জেলার আইনজীবীর পাঠানো  ২০হাজার টাকা আইরিনের হাতে প্রদান করেন উক্ত আইনজীবীর বন্ধু পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান।
আইনরিনকে পৃথকভাবে সহায়তা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার ইমাম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সুফল চন্দ্র গোলদার এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ও জাকারিয়া রহমান, সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত বাবুল আকতার ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহজাহান।
মেধাবী আইরিন জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। চলতি শিক্ষাবর্ষে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আর্থিক সংকটের কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছিলো সে।
আইরিন সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে কারিগরি কলেজ থেকে এইচএসসিতে  জিপিএ-পাঁচ লাভ করে। এছাড়া বাগডোকরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়েছিলো আইরিন।
আইরিন জানান, দিনমজুর বাবা আমার পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারছিলেন না। স্যারেরা আমাকে বিনে পয়সায় প্রাইভেট পড়িয়েছেন। হেঁটে স্কুল কলেজ গিয়েছিলাম। মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও পরিবার থেকে টাকা দিতে না পারায় অনিশ্চয়তায় পড়ি।
আমাকে আর্থিক ভাবে সহযোগীতা করে লক্ষ্যে পৌঁছানোর সুযোগ সৃষ্টি করায় আমি সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন জানান, আমি বগুড়া জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে তার কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে পড়াশোনাকালীন যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদানের অনুরোধ করবো।
বাবা মায়ের একমাত্র সন্তানদের মধ্যে আইরিনেই বড়। বাকি দুই ভাই পড়ছেন স্কুলে। আর্থিক সহায়তা গ্রহণকালে আইরিন ছাড়াও বাবা ইউনুস আলী ও চাচা আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন।


পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 3754107109757059896

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item