জলঢাকায় বন্দিদশা থেকে নির্যাতিতা পারভীনকে উদ্ধার করেছে ইউএনও।
https://www.obolokon24.com/2016/10/jaldhaka_0.html
মর্তুজা ইসলাম,জলঢাকা প্রতিনিধি
নীলফামারীর জলঢাকায় বন্দিদশা থেকে এক
নির্যাতিতা নারীকে উদ্ধার করেছ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ রাশেদুল হক
প্রধান। শুক্রবার রাত ১২টায় উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের হাফিজিয়া খালিশা
খুটামারা এলাকায় শশুড়বাড়ী থেকে দুইদিন তালাবন্দি অবস্হায় থাকার পর ঐ
এলাকার মাহফুজার রহমানের মেয়ে পারভীন ও তার দের বছরের কন্যা শিশুকে উদ্ধার
করা হয়। পরে মা ও শিশুকে জলঢাকা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শনিবার
দুপুরে নির্যাতিতা নারী পারভিন আকতার (২০) জানান ২০১৪ সালে প্রেম করে
আমাদের বিয়ে হয়, কিছুদিন না যেতেই শুরু হয় আমার উপর শশুড়বাড়ীর লোকজনের
মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। আর এর মধ্যেই আমাদের কোলজুড়ে আসে কন্যা সন্তান।
এরপর স্বামি রোকনুজ্জামান রোকন অন্য মেয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিন
আমার উপর নির্যাতন চালাত। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার আমাকে ঘরের মধ্য আটকিয়ে
রেখে অন্য মেয়ে নিয়ে উধাও হয় আমার স্বামি রোকন। এই সুযোগে আমার শশুড় শাশুড়ি
ও দেবর শুরু করে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন। পারভিন আরো জানায় এসময় আমাকে
কোনো প্রকার খাবার দেওয়া হয়নি এবং আমার বাবার বাড়ীর কোন লোককে বাসায় ঢুকতে
দেয়নি। পারভিনের মা কবিতা বেগম জানান ২ দিন ধরে মেয়ের কোনো খোজ না পেয়ে
বিষয়টি স্হানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তারা ইউএনও স্যাররের কাছে যেতে বলে।
আমি ইউএনও স্যারকে জানালে স্যার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে
নিয়ে আসে এবং জলঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান বলেন সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতা ঐ
নারীকে উদ্ধারের জন্যে গ্রাম্য পুলিশ ও ইউপি সদস্যকে বলি তারা উদ্ধারে
ব্যর্থ হলে বিষয়টি জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করে সেখানে একজন
এএসআই কে পাঠালে বাসায় তালাবন্ধ থাকলে তারা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। পরে রাত
বারোটায় স্হানীয় সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ঐ বাড়ীতে অভিযান
চালাই এবং বন্দিদশা থেকে তাকে ( পারভিন) উদ্ধার করি। জলঢাকা থানার ওসি
তদন্ত মফিজ উদ্দিন শেখ জানান ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় বন্দিদশা থেকে
নির্যাতিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পেরেছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা
দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।