বিলুপ্ত ছিটমহলে চলছে লটারীর নামে জমজমাট জুয়া বানিজ্য
https://www.obolokon24.com/2016/10/domar_22.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন সংলগ্ন বিলুপ্ত ছিটমহল অকড়াবাড়ীর হাটে শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে আনন্দ মেলা নামে, ৭ অক্টোম্বর সার্কাস, নাগরদোলা, রেলগাড়ী সহ দেশীয় খেলা ধুলা দিয়ে শুরু হয়। এ মেলার নামে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অনুমোদন বিহীন ভাবে চলচে নিউ ফাইভ ষ্টার র্যাফেল ড্র। এ র্যাফেল ড্রর টিকেট কেটে সর্বস্বান্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া ও গোপালগঞ্জের বিশিষ্ট ফরগুটি জুয়া খেলার সংঘবদ্ধ দল এসে এই অবৈধ লটারি বানিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ লটারিতে মোটর সাইকেল, বাই সাইকেল, মোবাইল ফোন, স্বর্ণের দুল, খাট পালংক, এমনকি টিফিন বাটি ইত্যাদি সহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় পুরস্কার ঘোষনা করছে তারা। এ পুরস্কারের আশায় লটারি কেটে সর্বস্বান্ত হচ্ছে এমনকি এলাকার চুরি ছিনতাই ডাকাতি বাড়ছে প্রতিনিহিত। প্রতিদিন রাত ১০টায় এ লটারীর ড্র মেলা প্রাঙ্গণে লাখো মানুষের উপচেপড়া ভীড় চোখে পড়ার মতো। এ ড্র মানুষকে বিশ্বাস করার জন্য স্থানীয় ডিস লাইনেও সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে অনুষ্ঠানটি। এদিকে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় ২০ টাকা মূল্যের এ লটারির টিকেট বিক্রি। এ এলাকা সহ আশপাশের নীলফামারী, ডোমার, ডিমলা, বোদা উপজেলার পাড়ায় মহল্লায় প্রশাসনের নাকের ডগায় ভ্যান দিয়ে লোভনীয় মাইকিং এর মাধ্যমে দিয়ে বিক্রি করছে সারাদিন ভর এ সর্বনাশা লটারির টিকেট। মাহিগঞ্জের ব্যবসায়ী পরেশচন্দ্র জানান, এ লটারীকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায় ব্যবসা বানিজ্য অচল প্রায়। সবাই লটারি পাওয়ার আশায় টিকেট কেনায় ব্যাস্ত। সন্ধ্যা হলে যাচ্ছে মেলার মাঠে। তাই বর্তমানে আমাদের ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। এবিষয়ে মেলা ফেরত আসা রবিউল, আনোয়ার, সহিদুল জানান, প্রতিদিন ২০/৩০টি লটারি কিনছি এখনো পইনি যতদিন চলবে কিনতে থাকবো যদি পাই(?)। পাওয়ার আশায় এলাকার সহজ সরল মানুষ মহিলা, শিশু, কিশোর, এমনকি বৃদ্ধরাও খেয়ে-না খেয়ে লটারীর টিকেট কিনে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জানাযায়, গত মঙ্গলবার ডোমার উপজেলা শহরে এ টিকেট বিক্রি করতে গিয়ে লটারীর ৪টি টিনের ড্রাম, ভ্যান ও লটারী বিক্রেতাকে আটক করে রাখে ডোমার থানা পুলিশ। ঐদিন লটারী ড্রর সময় ৪টি ড্রাম না থাকায় ঘঠনাটি জানাজানি হয়। পরে ঐ ড্রামগুলো ছাড়াই লটারীর ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এবিষয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমেদ রাজিউর রহমান জানান, অবৈধ লটারী বিক্রি করার অপরাধে ৭জন ও তাদের লটারী বিক্রির সময় যাবতীয় মালামাল আটক করা হয়। লটারী বিক্রি করতে আসা ৭ জনকে ফৈজদারী কার্যবিধির ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার মহন্ত জানান, এ মেলার অনুমোদন এখনো হয়নি তবে অনুমোদনের আবেদন করা হয়েছে। আর লটারীর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, লটারীর কোন অনুমোদন হয় না। তবে এ কয়দিনের লটারির ড্র খেলায় শোনা যায়, অচল মোটর সাইকেল ও নতুন পুরাতন জিনিসপত্র পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এ অনুমোদন বিহিন লটারি কতদিন চলবে কেউ জানেনা। স্থানীয়দের দাবী মেলা চললেও অবিলম্বে এ অবৈধ সর্বনাশা লটারি বন্ধ করা হোক।
নীলফামারী ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন সংলগ্ন বিলুপ্ত ছিটমহল অকড়াবাড়ীর হাটে শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে আনন্দ মেলা নামে, ৭ অক্টোম্বর সার্কাস, নাগরদোলা, রেলগাড়ী সহ দেশীয় খেলা ধুলা দিয়ে শুরু হয়। এ মেলার নামে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অনুমোদন বিহীন ভাবে চলচে নিউ ফাইভ ষ্টার র্যাফেল ড্র। এ র্যাফেল ড্রর টিকেট কেটে সর্বস্বান্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া ও গোপালগঞ্জের বিশিষ্ট ফরগুটি জুয়া খেলার সংঘবদ্ধ দল এসে এই অবৈধ লটারি বানিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ লটারিতে মোটর সাইকেল, বাই সাইকেল, মোবাইল ফোন, স্বর্ণের দুল, খাট পালংক, এমনকি টিফিন বাটি ইত্যাদি সহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় পুরস্কার ঘোষনা করছে তারা। এ পুরস্কারের আশায় লটারি কেটে সর্বস্বান্ত হচ্ছে এমনকি এলাকার চুরি ছিনতাই ডাকাতি বাড়ছে প্রতিনিহিত। প্রতিদিন রাত ১০টায় এ লটারীর ড্র মেলা প্রাঙ্গণে লাখো মানুষের উপচেপড়া ভীড় চোখে পড়ার মতো। এ ড্র মানুষকে বিশ্বাস করার জন্য স্থানীয় ডিস লাইনেও সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে অনুষ্ঠানটি। এদিকে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় ২০ টাকা মূল্যের এ লটারির টিকেট বিক্রি। এ এলাকা সহ আশপাশের নীলফামারী, ডোমার, ডিমলা, বোদা উপজেলার পাড়ায় মহল্লায় প্রশাসনের নাকের ডগায় ভ্যান দিয়ে লোভনীয় মাইকিং এর মাধ্যমে দিয়ে বিক্রি করছে সারাদিন ভর এ সর্বনাশা লটারির টিকেট। মাহিগঞ্জের ব্যবসায়ী পরেশচন্দ্র জানান, এ লটারীকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায় ব্যবসা বানিজ্য অচল প্রায়। সবাই লটারি পাওয়ার আশায় টিকেট কেনায় ব্যাস্ত। সন্ধ্যা হলে যাচ্ছে মেলার মাঠে। তাই বর্তমানে আমাদের ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। এবিষয়ে মেলা ফেরত আসা রবিউল, আনোয়ার, সহিদুল জানান, প্রতিদিন ২০/৩০টি লটারি কিনছি এখনো পইনি যতদিন চলবে কিনতে থাকবো যদি পাই(?)। পাওয়ার আশায় এলাকার সহজ সরল মানুষ মহিলা, শিশু, কিশোর, এমনকি বৃদ্ধরাও খেয়ে-না খেয়ে লটারীর টিকেট কিনে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জানাযায়, গত মঙ্গলবার ডোমার উপজেলা শহরে এ টিকেট বিক্রি করতে গিয়ে লটারীর ৪টি টিনের ড্রাম, ভ্যান ও লটারী বিক্রেতাকে আটক করে রাখে ডোমার থানা পুলিশ। ঐদিন লটারী ড্রর সময় ৪টি ড্রাম না থাকায় ঘঠনাটি জানাজানি হয়। পরে ঐ ড্রামগুলো ছাড়াই লটারীর ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এবিষয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমেদ রাজিউর রহমান জানান, অবৈধ লটারী বিক্রি করার অপরাধে ৭জন ও তাদের লটারী বিক্রির সময় যাবতীয় মালামাল আটক করা হয়। লটারী বিক্রি করতে আসা ৭ জনকে ফৈজদারী কার্যবিধির ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার মহন্ত জানান, এ মেলার অনুমোদন এখনো হয়নি তবে অনুমোদনের আবেদন করা হয়েছে। আর লটারীর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, লটারীর কোন অনুমোদন হয় না। তবে এ কয়দিনের লটারির ড্র খেলায় শোনা যায়, অচল মোটর সাইকেল ও নতুন পুরাতন জিনিসপত্র পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এ অনুমোদন বিহিন লটারি কতদিন চলবে কেউ জানেনা। স্থানীয়দের দাবী মেলা চললেও অবিলম্বে এ অবৈধ সর্বনাশা লটারি বন্ধ করা হোক।