ডোমারে জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী সৈনিক রেজিনার কিছু কথা।

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী)  প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী ডোমারে জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী সৈনিক রেজিনা বেগমের কিছু কথা না বললেই নয়। গত মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ডোমার বাজারে রোদে পুড়ে ফুলঝারু হাতে নিয়ে অলিগলি ঘুড়ে চলছে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারী রেজিনা বেগম। বিষয়টি দেখে দৃস্টি গোচড় হয়। এই বয়সে নাতী নাতনীর সাথে হেসে খেলে বাড়িতে থাকার কথা তার। ডেকে চা খাওয়ার ফাকে কথা হয় রেজিনার সাথে। বাড়ি ও স্বামী সন্তানের কথা জানতে চাইলে দির্ঘশ্বাস ছেড়ে অশ্রুভেজা জল নিয়ে বলেন, উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চান্দখানা গ্রামের বক্কর মেম্বারের বাড়ীর কাছে বাড়ী ছিল তার। মৃত আজিজার রহমানের স্ত্রী ২টি কন্যা সন্তান রেখে স্বামীর মৃত্যু হয় ২৫ বছর পূর্বে। স্বামীর দেয়া ভিটেবাড়ী ও ১একর জমি তার ভাশুর বাচ্চু ও তার ছেলে জসিয়ার, মতিয়ার ও সেরাজুল কৌশলে তা আতœসাত করে তাকে ভিটে ছাড়া করে। শিশু সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে যান। বাবা মায়ের মৃত্যুর পরে আশ্রয় মিলে কেতকীবাড়ী গুচ্ছগ্রামে। বড় মেয়ে কুলছুমের বিয়ে দেয় ১টি সন্তান রেখে জামাইয়ের মৃত্যু হয় সেই থেকে কুলছুম তার কাছে। ২য় মেয়ে রওশনারা স্বামীর সংসার করছে। তিনি আরো জানান, দিপু চেয়ারম্যান তার বিধবা ভাতা কার্ড করে দেয় তা দিয়ে অনেক কস্টে মা ও মেয়ে নাতনী খেয়ে না খেয়ে জীবন চালাচ্ছে। মেম্বার কে বলেও তার মেয়ের বিধবা ভাতা করে দেয়নি। তার মে কুলছুম মানুষের বাড়ীতে ও মাঠে কাজ করে, আর তিনি বেছে নিয়েছে ফুলঝারু বিক্রির কাজ। গুচ্ছ গ্রামের কুদ্দুস নামক ব্যাক্তি বাড়ীতে ফুলঝারু তৈরী করে, তার কাছ থেকে ছোট ও বড় মিলে ২০টি ঝারু নেয় ১০ থেকে ১৮ টাকা দরে। তা নিয়ে এলাকার বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করে ঝারু প্রতি ২/৫ টাকা মুনাফা হয় বলে যানান। এমনি করে দির্ঘ ৫বছর থেকে ফুল ঝারু বিক্রি করে আসছে তিনি। তবে মৃত স্বামীর ভিটে বাড়ী ফেরত পেতে সরকার পক্ষ, এনজিও বা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায়  কামনা করেন রেজিনা বেওয়া।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 45309792428206441

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item