ডিমলায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় শ্বশুড় গ্রেফতার॥ স্বামী পলাতক

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী-
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা পরিষদের কম্পিউটার প্রশিক্ষক জয়নাব বানুর  আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে শ্বশুড় ছাদের হোসেন(৫৫)। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের উত্তর ঝুনাগাছ চাঁপানী গ্রামের নিজবাড়ী হতে ডিমলা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় জয়নাব বানুর স্বামী মোস্তাফিজার রহমান মানিক পপি নামের একটি এনজিওর কর্মকর্তা পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকেও গ্রেফতারের জন্য খুঁজছে।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের জামিয়ার রহমানের একমাত্র মেয়ে জয়নব বানু সঙ্গে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ঝুনাগাছ চাপানি গ্রামের ছাদের হোসেনের ছেলে এনজিও কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান মানিকের ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারী মাসে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের পরিবারের নিকট হতে যৌতুক বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবী করে শ্বশুড় বাড়ির  পরিবার। এ অবস্থায় জয়নাবের পরিবার বাধ্য হয়ে ৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। বাকী ৪ লাখ টাকার জন্য জয়নাবের  উপর বিভিন্নভাবে পারিবারিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন চালায় স্বামী সহ শ্বশুড়বাড়ির পরিবার।

এ অবস্থায় চলতি বছরের গত ১৬ সেপ্টেম্বর যৌতুকের বাকি ৪ লাখ টাকার জন্য জয়নাবেব বাবার বাড়িতে  স্বামী মানিক ও শ্বশুড়  বৈঠকে বসেন। কিন্তু জয়নাবের বাবা  জামিয়ার রহমান বাকী ৪ লাখ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ অবস্থায় জয়নাবের স্বামী ও শ্বশুড় প্রকাশ্যে জয়নাবের বাবাকে অপমান ও  জয়নাবকে নষ্টা ও চরিত্রাহীনা বলে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে জয়নাবকে আর ঘরে তুলবে না বলে হুমকী দিয়ে চলে যায়। এতে জয়নাব বানু স্বামী ও শ্বশুড়ের দেয়া মিথ্যা অপবাদ সহ্য রতে না পেরে ঘটনার দিন  রাতে বাবার বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষে গলায় দড়ি দিয়ে আতœহত্যা করে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করে। ময়না তদন্তের পর জয়নাবের নামাজে জানাজা ও দাফনে জয়নাবের স্বামী অংশ গ্রহন হতে বিরত থাকে।

ফলে জয়নাবের বাবা জামিয়ার রহমান বাদী হয়ে গত ৯ অক্টোবর নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ২৭/১(ক) ধারায় পিটিশন নম্বর-৩০১/২০১৬ দায়ের করেন। আদালত মামলাটি নথিভুক্ত ও তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ৬০দিন সময় বেঁধে দিয়ে ডিমলা থানার ওসিকে আদেশ করে। ডিমলা থানা আদালতের ওই নথি পেয়ে ১১ অক্টোবর উক্ত অভিযোগটি মামলা হিসাবে (নম্বর ১৩) থানায় দায়ের করে।  আতœহত্যা প্ররোচনার এই  মামলায় আসামী করা হয় জয়নাবের  স্বামী মোস্তাফিজার রহমান মানিক, শ্বশুড় ছাদের হোসেন, শাশুরী মোখছুদা বেগমসহ ৭জনকে। জয়নাবের স্বামী মোস্তাফিজার রহমান মানিক পাটগ্রাম পপি অফিসে চাকুরী করলেও মামলার খবরে কর্মস্থল ও বাড়ি হতে আতœগোপনে রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফিরোজ জানায়, মামলার আসামী জয়নাবের শ্বশুড়কে  সোমবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7191496038444352688

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item