ডিমলায় পল্লীতে মুরগী ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

নীলফামারী ও ডিমলা প্রতিনিধি ২০ অক্টোবর॥
জিয়ারুল ইসলাম(৩২) নামের দুই সন্তানের জনক এক মুরগী ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার মধ্যে রাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিন গয়াবাড়ির নিজ বাড়ির অদুর হতে এই মরহেদ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি হত্যা না আতœহত্যা এ নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। জিয়ারুল ওই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত মুরগী ব্যবসায়ীর মরদেহ জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসাইন।
নিহতের স্ত্রী সাহিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন আমার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ভাসুর আব্দুল জলিল লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখে আতœহত্যার প্রচারনা করছে। তিনি আরো জানান  গত ৭দিন আগে পারিবারিক কলহে ভাসুর আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা আমাকে প্রচন্ড মারপিট করেছিল। এতে আহত হয়ে আমি ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে ডিমলা  থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। পুলিশ তদন্তের আসার পুর্বে সুকৌশলে ভাসুর ও তার লোকজন আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গলায় ফাস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।
তবে নিহতরে ভাই আব্দুল জলিল জানায়, পারিবারিক কলহ থাকতে পারে। এ জন্য নিজের ভাইকে হত্যার প্রশ্ন উঠেনা। তিনি বলেন ঘটনার দিন গত বুধবার ছোট ভাই জিয়ারুল ইসলাম বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মুরগী ক্রয় করে গ্রামের সুটিবাড়ি বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রেখে বিকাল ৫টায় বাড়ি আসে। এরপর বিকালে ভাত খেয়ে বাইসাইকেল নিয়ে পুনরায় বাহিরে চলে যায়। রাতে তার লাশ গাছে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। জিয়ারুল তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে আতœহত্যা করতে পারে বলে আব্দুল জলিল জানায়।
ডিমলা থানার সিনিয়র এসআই শাহাবুদ্দিন জানায়, ঘটনাটি রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশের পক্ষে একটি জিডি করা হয়েছে এবং আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসাইন জানান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলছে। ময়না তদন্তের রির্র্পোট পেলে ঘটনাটি পরিস্কার হওয়া যাবে, এটি হত্যা না আতœহত্যা।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7299355767180644692

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item