সিঙ্গাপুরে ৬ বাংলাদেশি জিকায় আক্রান্ত

ডেস্কঃ
সিঙ্গাপুরে মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ বাংলাদেশি। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহবুব-উজ-জামানের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার মাহবুবউজ জামান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ৬ বাংলাদেশি জিকায় আক্রান্ত হয়েছে বলে গতকাল (বুধবার) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আক্রান্তদের শরীরের জিকার হালকা উপসর্গ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া এদের মধ্যে কেউ সুস্থ হয়ে উঠেছেন অথবা হচ্ছেন। আমরা এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
গত বছর ব্রাজিল ও আশপাশের দেশগুলোতে জিকার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর এ বছর ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিকার কারণে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।
এর ৩ মাসের মাথায় সিঙ্গাপুরে প্রথম জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী করা শনাক্ত হয়। ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ব্রাজিল ভ্রমণে গিয়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
এরপর গত শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক মালয়েশীয় নারীর সিঙ্গাপুরে এসে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
রবিবার এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ৪১ জনের শরীরে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিক। আক্রান্ত সবাই সিঙ্গাপুরের একই অঞ্চলের বাসিন্দা বা একই এলাকায় কাজ করেন।
১৯৪৭ সালে উগান্ডায় প্রথম জিকা ভাইরাস ধরা পড়ে। এতে সচরাচর মৃত্যুর ঘটনা দেখা যায় না। তবে এর লক্ষণও সবসময় স্পষ্ট থাকে না। তবে কোনো গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার গর্ভের শিশু ‘ছোট মাথা’ নিয়ে জন্মাতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শিশুদের এই অবস্থাকে মাইক্রোসেফালি বলে।
মাতৃগর্ভে থাকার সময় মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশুর মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে হয় না। ফলে ওই সব শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্দী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এমন কি জন্মের পরপর  তার মৃত্যুও হতে পারে।
জিকা ভাইরাস ছোঁয়াচে নয়। তবে যৌন সংসর্গের মাধ্যমে জিকা সংক্রমণের কয়েকটি ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে ধরা পড়েছে।
গত মার্চে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রামের এক ব্যক্তির রক্তের পুরনো নমুনায় জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছে জাতীয় রোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইইডিসিআর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে জিকা নিয়ে এখনই শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ ঘটেনি। তবে এ ভাইরাস ঠেকাতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে।
মশা নিয়ন্ত্রণের কাজটি করতে হবে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে; কারণ এডিস মশা ঘরের মধ্যে ফুলদানি বা পাত্রে জমানো পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তার করে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 2096981284862143667

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item