নীলফামারীতে পানির দামে পশু চামড়া

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৪ সেপ্টেম্বর॥
চামড়া সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে পানির দামে কোরবানী ঈদের পশুর চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে নীলফামারীর বিভিন্ন বাসাবাড়ির মানুষজন। ৫ হাজার হতে ১৬ হাজার টাকা মূল্যের খাঁসীর চাপড়া ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। আর ৭০ হাজার হতে ৩৫ হাজার টাকা মূল্যে গরুর চাপড়া ৬০০ থেকে ৪০০ টাকা।
ঈদের দিন মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখা যায় খুচরা ব্যবসায়ীরা এই দামেই চামড়া কিনছে। কেউ কেউ চামড়ার দামে মন্দা দেখে গোটা চাপড়া বিভিন্ন এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দান করে দিয়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানায় আমরাওতো বলির পাঠা। আমাদের হাতে কিছু নেই। চামড়া কিনে লাভ হয় ৫০ টাকা। সিন্ডিকেটতো হয় চামড়ার আড়ৎদার হতে ট্যানারি মালিক কর্র্তৃক। আর সিন্ডিকেটের বাইরে চামড়া বিক্রিও কঠিন হয়ে পড়ে।
সরকার গরুর চামড়া ঢাকার বাইরে বর্গফুট প্রতি ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে এ দামে চামড়া কিনলে প্রতি পিস চামড়ার দাম হয় ৬শত থেকে ৭শত টাকা। তাতে গরুর মালিকদের কম দামে বিক্রয় করতে হয়েছে, বলেও জানান খুচরা চামড়া ব্যবসায়ী মোমিন। অপর খুচরা ব্যবসায়ী লিয়াকত বলেন, সরকারের দেওয়া নির্ধারণ করা দামে চামড়া ক্রয় করা সম্ভব হয়নি।
কোরবানীর চামড়া বিক্রি করেন এমন একজন কোরবানীদাতা রামনগর গ্রামের তৈয়ব আলী সরকার জানান, তিনি কোরবানীর গরু কিনেছেন ৫৫ হাজার টাকায়। আর চামড়া বিক্রি করলেন ৪০০ টাকায়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কোরবানীর গরু কিনলাম চড়া দামে আর চামড়া বেচলার পানির দামে। সব খড়ক যেন আমাদের উপর। শহরের স্টাফ কোয়াটার মহল্লার খোকন জানান তিনি ১০ হাজার টাকায় দুটি খাঁসী কোরবানী দেন। আর চামড়া দুটি বিক্রি করেন মাত্র ২০ টাকায়।
সবুজপাড়া মহল্লার বেলাল হোসেন বলেন, চামড়ার দাম শুনে আর কিছুই প্রকাশ করতে পারিনি। তাই গরুর চামড়াটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দান করে দিয়েছি।
অনেকে জানান তারা এখনও পশুর চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। খুচরা ব্যবসায়ীরা আজ বুধবার চামড়া কিনতে চায়না।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5334737748029590103

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item